Bangla News Dunia , Rajib : ক্রেতার বয়স তিরিশের কম হলে তাকে মদ বিক্রি নয়। এমন দাবিতে জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন মামলা গ্রহণ করে মামলাকারীকে বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে নোটিস পাঠাতে।
সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকেও মামলায় যুক্ত করতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট চাইছে, দেশের সব মদ বিক্রির জায়গায় ক্রেতার বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক হোক এবং কেন্দ্র এ নিয়ে নিয়ম চালু করুক। সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে ‘কমিউনিটি এগেনস্ট ড্রাঙ্কেন ড্রাইভিং’ নামে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন।
কেন এই মামলা? সংগঠন সূত্রের খবর, দেশের কমবয়সীদের মদ্যপানের প্রবণতা হুহু করে বাড়ছে। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে কমবয়সীরা দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। তাতে মৃত্যু হচ্ছে। মানুষ গুরুতর জখম হচ্ছেন।
কেবল তাই নয়, মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় কমবয়সীদের ডাকাতি, যৌন নিগ্রহ বা খুনের মতো গুরুতর অপরাধে জড়ানোর ঘটনাও ক্রমশ বাড়ছে। সেই কারণে মদ বিক্রির সময় ক্রেতার বয়স কমপক্ষে ৩০ হয়েছে কি না তা যাচাই করা বাধ্যতামূলক হোক।
আরো পড়ুন :- বিয়ের জন্য ছুটি না পেয়ে Whatsapp ভিডিও কলেই শুভ পরিণয় সারল বর-কনে
আরো পড়ুন :- স্টেশনে ট্রেন ঢোকার আগে দিতে হয় ঘুষ! ভারতেই চলে এই আজব নিয়ম, ভাইরাল ভিডিও
সংগঠনের আইনজীবী পিবি সুরেশ মামলার শুনানিতে সওয়াল করেন, কমবয়সীদের মদ কেনার ক্ষেত্রে এখন সারা দেশে কোনও বাধা নেই। আরও যা আশঙ্কার কারণ, এখন মদ হোম ডেলিভারি-ও হয়।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন রাজ্যে মদ্যপানের বৈধ বয়সও আলাদা। গোয়ায় ১৮, দিল্লি বা মহারাষ্ট্রে ২৫, কর্নাটক বা তামিলনাড়ুতে ১৮। দেখা গিয়েছে, ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে ১৮ বছরের কম বয়সীরা অবাধে মদ কিনতে পারছে। সমস্যার সমাধানে একাধিক প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে মামলার আবেদনে।
যেমন, মদের দোকান, ক্লাব, পানশালায় আধার, ভোটার কার্ড বা অন্য কোনও বৈধ পরিচয় পত্র দেখে বয়স যাচাই করা। রাজ্যগুলির আবগারি আইনেও বয়স যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকা। বয়স্কদের দিয়ে কমবয়সীরা মদ কিনছে কি না তার দিকে নজর রাখা ইত্যাদি।
এ ছাড়া, ২৫ বছরের কমবয়সীরা মদ কিনলে (কারণ অনেক রাজ্যেই মদ কেনা বা খাওয়ার বৈধ বয়স ১৮-২৫) তাদের কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা। কমবয়সীদের হয়ে প্রাপ্তবয়স্করা মদ কিনলে তাদেরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা।
কমবয়সীদের মদ বিক্রি করা হলে বিক্রেতাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ৩ মাসের জেল অথবা জরিমানা ও কারাবাসের ব্যবস্থা করা। তিন বার একই ঘটনা ঘটলে মদ বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।