৩১ ডিসেম্বরেই শেষ করতে হবে কাজ! হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড নিয়ে শিক্ষকদের কড়া নির্দেশ রাজ্য সরকারের

By Bangla News Dunia Rajib

Published on:

Holistic-Report-Card

Bangla News Dunia , Rajib : হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড হল বাংলা শিক্ষা ব্যবস্থার এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। আসলে বিদ্যালয়ে পডুয়াদের সার্বিক উন্নতি কেমন হচ্ছে সেটাই উল্লেখ করা থাকবে এই রিপোর্ট কার্ডে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এবং জাতীয় শিক্ষানীতিকে মান্যতা দিয়ে তৈরি হওয়া এই ‘হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড’-এ পড়ুয়াদের জ্ঞান অর্জন সম্পর্কে সবিস্তার তথ্যের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পড়ুয়া ব্যক্তিগত ও সামাজিক ভাবে কী ভাবে নিজেকে তুলে ধরছে, তা-ও উল্লেখ করা হবে।

গত বছর থেকেই এনিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সার্বিক অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এই প্রকল্পের ঘোষণা করে স্কুলশিক্ষা দফতর। এবার সেই রিপোর্ট কার্ড তৈরির পাশাপাশি, প্রধানশিক্ষকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন-এর উপরে বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড নিয়ে বড় বার্তা

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানশিক্ষকদের হলিস্টিক রিপোর্ট নিয়ে ওরিয়েন্টেশন শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং সেই নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরের DI রা প্রধানশিক্ষকদের ওরিয়েন্টেশন করাবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় নথি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক সামগ্রী তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর এই প্রসঙ্গে দুটি ভাগ করা হয়েছে।

চলতি মাসের ২১ ও ২২ তারিখ বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত দু’টি ব্যাচে ভাগ করে এই ওরিয়েন্টেশন করা হয়েছিল। এই প্রোগ্রাম সম্পূর্ণটাই হয়েছিল অনলাইনের মাধ্যমে। প্রথম দিন ১৫টি জেলা এবং দ্বিতীয় দিন ১০টি জেলার DI রা ছিলেন। তবে এই নিয়েও নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। শিক্ষকমহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিল, শুধু জেলা পরিদর্শকদের ওরিয়েন্টেশন করিয়ে কী লাভ? স্কুলের শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ এবং ওরিয়েন্টেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের রিপোর্ট তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এর জন্য দক্ষ শিক্ষাকর্মীও প্রয়োজন।

কী বলছেন বঙ্গীয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক?

এই বিষয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন ম‌ণ্ডল জানিয়েছেন, শিক্ষা দফতর ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সহযোগিতার অভাবে হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ এ চালু করা হয়নি। যদিও এ বছর আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে শেষ পর্যন্ত এই প্রকল্প কতটা সাফল্য অর্জন করবে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন যে হলিস্টিক রিপোর্ট কার্ড ছাপার জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ করতে হয়। যদি এই টাকা এইসব প্রকল্পের তুলনায় স্কুলগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় করা হয় তাহলে সেটি বেশি যথাযোগ্য হবে।

আরো পড়ুন :- রফতানিতে রেকর্ড গড়ল ভারত ! সফল মোদী সরকার

আরো পড়ুন:এবার মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে এলিয়েন খুঁজবে নাসা, কিভাবে? জানতে হলে পড়ুন

আরো পড়ুন :- NIT দুর্গাপুরে কর্মী নিয়োগ চলছে! সরাসরি ইন্টারভিউর মাধ্যমে, বেতন ২০,০০০/- টাকা

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- SBI থেকে LPG, OTP! ১ ডিসেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে ৪ নিয়ম

আরো পড়ুন :- রাহানে, আইয়ার বা রিঙ্কু সিং! নিজেকে KKR-র অধিনায়ক ঘোষণা করলেন ‘তারকা’

আরো পড়ুন :- বীরভূমের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তিনিই, কালীঘাটের বৈঠকের পরেই ঘোষণা অনুব্রতর

Bangla News Dunia Rajib

মন্তব্য করুন