Bangla News Dunia, দীনেশ :- ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির জন্য প্যাকেজ সিস্টেমে কাজ চালাত অভিযুক্তরা। পাসপোর্ট তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ভারতীয় নথিপত্র বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের হাতে তুলে দিতে ৩ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্যাকেজ ছিল। ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডের তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট এবং গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে এমন বিস্ফোরক তথ্যই উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরির জন্য একটি চক্র কাজ করত। একজনের মারফত আর এক হাত হয়ে মূলচক্রী বা দলের নেতার কাছে পৌঁছোতে হত। ওই দলের মাথা সমরেশ বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার এই কাণ্ডে ষষ্ঠ অভিযুক্ত মোক্তার আলমকে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ছোট জাগুলিয়ায় তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলম এই প্যাকেজ সিস্টেমে বাংলাদেশিদের প্রস্তাব দিত। তার সঙ্গে বহু এজেন্টের যোগাযোগ ছিল। তাঁরা বাংলাদেশিদের তার কাছে নিয়ে আসতেন। তারপর আলম দলের মাথা সমরেশ বিশ্বাস ও তার ছেলে রিপনের কাছে নিয়ে যেত। এরপর অন্যতম ধৃত দীপঙ্কর দাস সমরেশের নির্দেশে ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করত। এরা সকলেই এখন পুলিশের জালে। সমরেশ ও তার দল কলকাতাতেই ৩ হাজার ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করে। ইতিমধ্যেই ৭৩ জন ব্যক্তি ওই ভুয়ো পাসপোর্ট দিয়ে যাতায়াত করেছেন।
আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না
সম্প্রতি সমরেশের ঘনিষ্ঠ হাওড়ার এক ডাককর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। ওই ব্যক্তি আমতার অস্থায়ী পোস্ট অফিস থেকে ভুয়ো পাসপোর্ট সমরেশ ও তার এজেন্টদের হস্তান্তর করত। জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম অ্যান্ড ট্রাফিক) রূপেশ কুমার জানান, আলমকে ২০২১ সালেও একই ধরনের ঘটনায় চুঁচুড়া পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আলমের থেকে ওইসময় বিভিন্ন ব্যক্তির এটিএম ও প্যানকার্ড উদ্ধার করা হয়েছিল। এমনকি আলম নিজেও আলাদাভাবে সমান্তরাল চক্র চালাত। বর্তমানে পুলিশ ধৃতদের থেকে জানতে চাইছে, কীভাবে পুলিশের চোখের আড়ালে এই চক্র তারা চালিয়ে যেত। এদিন নিম্ন আদালতে পুলিশকেও ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। আলিপুর আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উদ্দেশে বলেন, আমাদের পাসপোর্টের সময় বারবার যাচাই করা হয়, আর ৭৩ জনের জন্য কিছুই হল না? যাচাই কি পিওনরা করতেন? যদি তা না হয়, তাহলে যাঁরা যাচাই করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? উত্তরে পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে। সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, এটা বৃহৎ চক্র। এর মাথায় কারা রয়েছে তা দেখা হচ্ছে। সবার আলাদা আলাদা ভূমিকা রয়েছে। তার মাধ্যমেই চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে।
আরো পড়ুন :- ভয়ঙ্কর যুদ্ধ কি আসন্ন ? পাক সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে ১৫ হাজার তালিবান সেনা