Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- তিন দিন কেটে গেলেও রাজস্থানে কুয়োয় পড়ে যাওয়া তিন বছরের চেতনাকে এখনও উদ্ধার করা যায়নি। জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় বাহিনীর আধিকারিকরা অক্লান্ত চেষ্টা করে চলেছেন। সূত্রের খবর, এ বার চেতনাকে উদ্ধারের জন্য ব়্যাট-হোল মাইনার্সদের কাজে নামানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে চেতনাকে কুয়ো থেকে তুলে আনার কৌশল তৈরি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ব়্যাট-হোল মাইনিং এমন এক পদ্ধতি, যা মূলত মেঘালয়ে কয়লা তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতি খুব ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সরু ও গভীর গর্তে আটকে থাকা মানুষকে উদ্ধারে তা কার্যকর হতে পারে। ২০১৪ সালে মেঘালয়ে এক দুর্ঘটনার পর ব়্যাট-হোল মাইনিং নিষিদ্ধ হয়েছিল। তবে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডের সিলকিয়ারা টানেলে ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার করতে ফের এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সাফল্য আসে।
চেতনাকে এই পদ্ধতিতে সফল ভাবে উদ্ধার করা যায় কি না, সেদিকেই নজর সকলের। চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সময়ের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে চলছে উদ্ধারকাজ। ক্যামেরায় তাকে নড়াচড়া করতে দেখা গেলেও অনেকক্ষণ তাকে দেখা যাচ্ছে না। অক্সিজেন সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয় তা নিশ্চিত করতে কুয়োয় অক্সিজেনের পাইপ ঢোকানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:– কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে অনন্য গবেষণা, বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঙালি বিজ্ঞানীরা
গত সোমবার রাজস্থানের কোতপুতলি-বেহরোর জেলায় বাড়ির পাশে খেলার সময় আচমকা গভীর কুয়োয় পড়ে যায় ছোট্ট চেতনা। প্রথমে তার বাবা-মা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। পরে কুয়োর ভেতর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীদের সাহায্যে তাঁরা চেতনাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। তবে কুয়োর গভীরতা অনেকটা হওয়ায় তাঁরা ব্যর্থ হন।
সূত্রের খবর, কুয়োটি ৭০০ ফুট হলেও, চেতনা রয়েছে ১৫ ফুট গভীরে। কাদা-ভেজা মাটিতে আটকে আছে সে। আর সেই ভেজা মাটির কারণেই উদ্ধারে বাধা আসছে।
সোমবার গভীর রাতে চেতনাকে বের করার জন্য বোরওয়েলে একটি রিং রড ঢোকানো হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির জামাকাপড়ে বাঁকানো ওই রড আটকে যাওয়ায়, সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তারপরেও একাধিক চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে পুলিশ বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স ও মাটি খোঁড়ার যন্ত্র কাজে লাগানো হচ্ছে।
আরো পড়ুন:– পৃথিবী গোলাকার নয়, প্রমাণ করতে গিয়ে ৩১ লক্ষ টাকা খোয়ালেন ইউটিউবার, কিভাবে ? জানুন
সূত্রের খবর, কুয়োটি ৭০০ ফুট হলেও, চেতনা রয়েছে ১৫ ফুট গভীরে। সেখানেই কাদা-ভেজা মাটিতে আটকে আছে সে। আর সেই ভেজা মাটির কারণেই উদ্ধারকার্যে একের পর এক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
সোমবার গভীর রাতে চেতনাকে বের করার জন্য বোরওয়েলে একটি রিং রড ঢোকানো হয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির জামাকাপড়ে রড আটকে যাওয়ায়, প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। তারপরেও একাধিক চেষ্টা করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানে পুলিশ বাহিনী, অ্যাম্বুলেন্স ও জেসিবি মেশিন মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার একমাত্র ভরসা ব়্যাট মাইনিং পদ্ধতি। একই সঙ্গে উদ্বেগ বাড়িয়েছে চেতনার শারীরিক অবস্থা নিয়ে। প্রায় তিন দিন খাবার,জল ছাড়া বেঁচে রয়েছে সে। কতক্ষণে তাকে কুয়ো থেকে বের করে আনা হবে উৎকণ্ঠার প্রহর গুনছেন সবাই।
আরো পড়ুন:– ভারতীয় অর্থনীতি, ব্যবসা, শিল্পোদ্যোগের জন্য কেমন ছিল 2024 ? বিস্তারিত জানুন