Bangla News Dunia, Pallab : ডিএ (Dearness allowance) নিয়ে বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়তে চাইছে না বাংলার। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীদের দাবি কবে পূরণ হবে সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিকে এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট-এর গন্ডি পেরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তবে দীর্ঘ দুবছর কেটে গেলেও মনের মতো রায় পাননি সরকারি কর্মীরা। বরং উল্টে ১৩ বার শুনানি পিছিয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি, ২০২৫ সালে রয়েছে মামলার শুনানি। সেদিনও যদি মামলার শুনানি পিছিয়ে যায় তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। জানেন তিনি কী বলেছেন? না জানা থাকলে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
আরো পড়ুন :- ‘আমি যতদিন সভাপতি ছিলাম, পার্টি হু হু করে বেড়েছে’ কাকে ইঙ্গিত করে এমন বললেন দিলীপ ঘোষ ?
বড় মন্তব্য মলয় মুখোপাধ্যায়ের
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, যদি ৭ তারিখও মামলা পিছিয়ে যায়, তাহলে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে সরাসরি চিঠি দেবেন তাঁরা। জানালেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৩ বার পিছিয়েছে DA মামলা। ৭ জানুয়ারি এই মামলাটি হয় কি না দেখি। আমরা এখন আর মামলাটি এগিয়ে নিয়ে আসার কথা বলিনি কারণ ৭ জানুয়ারি চলেই এসেছে। তবে এবারও মামলা পিছিয়ে গেলে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে আমরা চিঠি দেব। এর আগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে অন্ততপক্ষে ৩ থেকে ৪টি চিঠি দেওয়া হয়েছিল এই নিয়ে।’
সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মলয় মুখোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে সকলে যে আর্থিক সমস্যাতেও ভুগছেন সেটাও জানাতে ভোলেননি তিনি। মলয়বাবু জানান, এর আগে মামলার শুনানির দিনগুলিতে তাঁরা বিমানে করে দিল্লি গিয়েছেন। তবে এখন অর্থের অভাবের কারণে ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছে। সরকার চাইছে মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করতে। যাতে মামলাকারী সরকারি কর্মীদের টাকা ফুরিয়ে যায় এবং তাঁরা মামলা থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন।
১৪% হারে DA পাচ্ছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা
২৪-এর লোকসভা ভোটের আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ্য ভাতা ৪৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করে। এখন সকলে ১৪ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। যদিও এই নিয়ে মোটেও খুশি নন সরকারি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, সরকারি কর্মীদের মন জয় করতে এক মাসের জন্যে হলেও ১৮ শতাংশে ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপরেও বিক্ষোভ দেখান সরকারি কর্মীরা।