Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এক-দুই কোটি নয়, মোট ৮২৪.১৪ কোটি টাকা। সরকারের ঘর থেকে কর ফাঁকি গিয়েছে ঠিক এত পরিমাণ টাকা। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সংসদে জানিয়েছেন, একাধিক ক্রিপ্টোকারেন্সি সংস্থা জিএসটি ফাঁকি দিয়েছে। তাদের কর ফাঁকির পরিমাণ ৮২৪ কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে সুদ ও পেনাল্টির খাতে ১২২.২৯ কোটি টাকা উদ্ধার করা হলেও বাকিটা এখনও মেলেনি।
জিএসটি ফাঁকি দেওয়ার তালিকায় রয়েছে, বিন্যান্স (Binance), WazirX, CoinDCX এবং CoinSwitch Kuber-এর মতো সংস্থা। এর মধ্যে জিএসটি ফাঁকির তালিকায় সবচেয়ে বড় নাম বিন্যান্স গ্রুপ কোম্পানি। শুধুমাত্র এই সংস্থাটিই ৭২২.৪৩ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দিয়েছে। অর্থমন্ত্রক এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সংস্থাটি থেকে কোনও টাকা উদ্ধার করতে পারিনি। এছাড়া, WazirX-এর জিএসটি ফাঁকির পরিমাণ ৪০.৫১ কোটি টাকা, ওই সংস্থার থেকে সুদ ও পেনাল্টি-সহ ৪৯.১৮ কোটি টাকা নিয়েছে সরকার। CoinDCX ফাঁকি দিয়েছিল ১৬.৮৪ কোটি টাকা, সেই সংস্থার থেকে ২০.৮৬ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে সরকার। CoinSwitch Kuber সংস্থাটি ১৪.১৩ কোটি টাকা জিএসটি ফাঁকি দিয়েছিল। ওই সংস্থা থেকে সরকার উদ্ধার করেছে ১৯.৩৮ কোটি টাকা।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন থেকে যে আয় হয়, তার উপর ফ্ল্যাট ৩০ শতাংশ কর রয়েছে। এছাড়া, বছরে ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন হলে ১ শতাংশ টিডিএস কাটা হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সিকে আয়কর আইন অনুযায়ী ‘Virtual Digital Assets’ বিভাগে ফেলা হয়। ২০২৩ সাল থেকে ক্রিপ্টো সম্পত্তি Prevention of Money Laundering Act-এর অধীনে আনা হয়েছে। এর ফলে আর্থিক তছরুপ রুখতে যাবতীয় এক্সচেঞ্জ এবং ক্রিপ্টো পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছে। প্রয়োজন হয়েছে KYC নথির।
আরো পড়ুন:– কবে আসবে আপনার মৃত্যু? বলে দিচ্ছে এআই-চালিত ‘ডেথ ক্লক’। কিভাবে? জানলে অবাক হবেন
আরো পড়ুন:– সস্তা স্যামসাঙ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র 6499 টাকার বিনিময়ে, পাওয়া যাবে 50MP Camera এবং 5000mAh Battery