Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সচিন তেন্ডুলকরকে কুর্নিশ জানাল BCCI। তাঁর মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। কর্নেল সিকে নাইড়ুর নামে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মাস্টার ব্লাস্টারকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার দেওয়া হলো। পাশাপাশি সেরা পুরুষ ক্রিকেটারের পুরস্কার পেলেন জসপ্রীত বুমরা। সেরা মহিলা ক্রিকেটার হলেন স্মৃতি মান্ধানা।
২৪ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অভিন্ন অংশ ছিলেন সচিন। ক্রিকেটে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তাঁর অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য এই বিশেষ সম্মান দেওয়া হলো সচিনকে। ১৯৮৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি শতরান রয়েছে তাঁর। আর এই অবিস্মরণীয় অবদানকে কুর্নিশ জানাতেই BCCI এ বছর লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার তুলে দিল সচিনের হাতে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে স্মারক তুলে দেন ICC প্রধান জয় শাহ।
সচিনের নামটুকুই যে ক্রিকেটমহলের সম্ভ্রম বাড়ানোর জন্য যথেষ্ট তার প্রমাণ মিলল BCCI-এর অনুষ্ঠানে। তাঁর নাম ঘোষণা হতেই স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিলেন পূর্বসূরি সুনীল গাভাস্কর, রবি শাস্ত্রী, BCCI সভাপতি রজার বিনি থেকে শুরু করে সতীর্থ ও জুনিয়ররা।
বোর্ডের স্বীকৃতি পেয়ে আপ্লুত মাস্টার ব্লাস্টার। পুরস্কার হাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সচিন বলেন, ‘ন’-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে দু’বছর ব্যাটে স্টিকার ছাড়াই খেলতে হয়েছে আমায়। মদ ও তামাকের প্রচার বিরোধী অবস্থানের জন্য আমার কোনও ব্যাট চুক্তি ছিল না। আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মা-বাবার শিক্ষাই আমাকে এমন অবস্থানে অনড় রেখেছিল। আমার জীবন ও ক্রিকেটের যাত্রাপথে মূল্যবোধের গুরুত্ব অসীম।’
পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সচিন তেন্ডুলকর লেখেন, ‘কর্নেল সিকে নাইড়ু লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার পেয়ে আমি অত্যন্ত সম্মানিত। ২৪ বছরের দীর্ঘ ক্রিকেট সফর আমার একার নয়। কোচদের গাইডেন্স, সতীর্থদের আস্থা, অনুরাগীদের অটুট ভরসা এবং পরিবারের বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং ত্যাগ, সব কিছুর মিলিত অবদানই আমার কেরিয়ার।’ তাঁর সংযোজন, ‘এই সম্মান আমায় মনে করিয়ে দিচ্ছে, এই খেলাকে এবং যে সকল মানুষ আমায় সর্বস্ব উজাড় করে ভালোবেসেছেন, তাঁদের কিছু ফিরিয়ে দিতে হবে। উন্মুক্ত চিত্তে অসীম বাউন্ডারিতে আমাকে দেশের হয়ে ব্যাট করতে দেওয়ার জন্য BCCI ও সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের কৃতজ্ঞতা জানাই।’
২০২৪ সালটা ছিল জসপ্রীত বুমরার দুরন্ত পারফরম্যান্সের বছর। টেস্টে মোট ৭১টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি২০ বিশ্বকাপজয়ী দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। ফলে বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার হিসেবে যোগ্য সম্মান পেলেন তিনি। পাশাপাশি মহিলাদের ক্রিকেটে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন স্মৃতি মন্ধানা। ওয়ান ডে সেঞ্চুরির নিরিখে ভারতীয়দের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন তিনি। ফলে সেরা মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কারে সম্মানিত করা হলো তাঁকে।
মোট ২৬টি বিভাগে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সেরা অভিষেক (পুরুষ) সম্মান পেলেন সরফরাজ় খান। মহিলা বিভাগে সম্মানিত আশা শ্রমণা। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য সেরা হয়েছে মুম্বই। গত বছরই রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। ইরানি কাপেও চ্যাম্পিয়ন তারাই। জগমোহন ডালমিয়ার নামাঙ্কিত ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা মহিলা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন প্রিয়া মিশ্রা।