Exchange Traded Fund (ETF) কি ? প্রকারভেদ বিনিয়োগের সুবিধা ও ETF এ কিভাবে বিনিয়োগ করবেন জেনে নিন।

By Bangla news dunia Desk

Published on:

Bangla News Dunia , দীনেশ আপনি যদি শেয়ার বাজার আর রুচি রাখেন তাহলে অবশ্যই ETF বা Exchange Traded Fund (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এর সম্পর্কে নিশ্চয়ই শুনে থাকবেন। মিউচুয়াল ফান্ড ও ইনডেক্স ফান্ডের মতই ETF ও‌ হলো একটি ফান্ড। আজকের এই প্রতিবেদনে আলোচনা করব ETF কি? ইটিএফ এর প্রকারভেদ সমূহ! এবং ETF এ কিভাবে বিনিয়োগ করবেন ও বিনিয়োগের কি কি সুবিধা রয়েছে সমস্ত কিছু জানতে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ETF বা এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড কি?

ETF এর সম্পূর্ণ অর্থ হলো Exchange Traded Fund অর্থাৎ এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। ETF হলো শেয়ার বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের মতই একটি ফান্ড। ETF এ বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি একটি ডাইভার্সিফাইড পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন ETF এ বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি স্টক, বন্ড, এবং অন্যান্য বিনিয়োগ সংযুক্তভাবে করতে পারবেন।

আরো পড়ুন :- এগিয়ে আসছে পৃথিবীর শেষ দিন ? কি বলছে বিজ্ঞানীরা

এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডের প্রকারভেদ সমূহ

ETF এর একাধিক প্রকারভেদ রয়েছে। এবার নিচে সমস্ত প্রকারভেদগুলি সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

  • ইক্যুইটি ETF: এই ETF সরাসরি শেয়ার বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত, এই ফান্ডের মাধ্যমে শেয়ার বাজারের বিভিন্ন কোম্পানিগুলিতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। ‌
  • সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রি ETF: কোন নির্দিষ্ট সেক্টর বা নির্দিষ্ট কোন প্রকারের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকে। উদাহরণসহ: প্রযুক্তি(IT), স্বাস্থ্য সেবা(Health) ইত্যাদি।
  • বন্ড ETF: এর মাধ্যমে সরকারি বন্ড, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, কর্পোরেট এবং মিউনিসিপাল বন্ড বিনিয়োগ করে।
  • ডিভিডেন্ড ETF: যে সমস্ত শেয়ার গুলি ডিভিডেন্টের সুবিধা প্রদান করে সেই সমস্ত শেয়ারগুলি নিয়ে ডিভিডেন্ড ETF গঠিত। এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত আয়ের সুবিধা পেয়ে যাবেন।
  • ইন্টারন্যাশনাল ETF: এক্ষেত্রে বিদেশের স্টক মার্কেট বা বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে। তাই যারা বাইরের মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চাই এবং কম ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করতে চাই তাদের জন্য এই ফান্ড সর্বত্তম।

আরো পড়ুন :- মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী !

ETF এ কিভাবে বিনিয়োগ করবেন

ETF এ বিনিয়োগ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ব্রোকারেজ একাউন্ট ওপেন করতে হবে এরপর শেয়ার কেনাবেচার মতই আপনি ETF ও ক্রয় করতে পারবেন। শেয়ার ক্রয় করার আগে যেরকম নিখুঁত রিসার্চ করা প্রয়োজন সেরকম ETF কেনার ক্ষেত্রেও প্রথমে রিসার্চ করা প্রয়োজন, আপনি যত ভালো রিসার্চ করে ভিডিও করবেন সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে রিটার্নের পরিমাণও বেশি হবে। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি ETF এও আপনি ট্রেড করতে পারবেন, এক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ খানিকটা কম থাকে।

আরো পড়ুন :- বিশ্বের সুপার পাওয়ারদের তালিকায় ভারতেরও থাকা উচিত : পুতিন

ETF এ বিনিয়োগের সুবিধা সমূহ

ETF এ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক সুবিধা রয়েছে। নিচে কয়েকটি সুবিধা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো।

  • ETF পরিচালনা করার জন্য যে ফি প্রয়োজন তা মিউচুয়াল ফান্ড বা ইনডেক্স ফান্ডের তুলনায় অনেক কম।
  • কিছু কিছু বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ETF এ ট্যাক্সে ছাড়া পাওয়া যায়।
  • ETF এ বিনিয়োগের মাধ্যমে একাধিক কোম্পানিতে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন ফলে ঝুঁকির পরিমাণ অনেকটা কমে যাবে।
  • কিছু ETF নিয়মিত ডিফিডেন্ট প্রদান করে ফলে নিয়মিত আয়ের সুযোগ পাবেন।
  • শেয়ার ক্রয় বিক্রয়ের মতোই ETF ক্রয় বিক্রয় খুব সহজেই করতে পারবেন।
  • দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়াদের ক্ষেত্রে স্বল্প ঝুঁকিতে খুব ভালো রিটার্ন পাওয়া যায়।

আরো পড়ুন :- ঝড়েও হবে না ক্ষতি, সুন্দরবন বাঁচাতে ৪৫০০ হেক্টর জমিতে ম্যানগ্রোভ প্রকল্প, হবে বিপুল কর্মসংস্থান

 

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন