HMPV ভাইরাস নিয়ে সবাইকে আশ্বস্ত মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার নিশানায় ‘অসাধু চক্র’

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

 

Bangla News Dunia, দীনেশ : হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি (HMPV) নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। একইসঙ্গে চিকিৎসার নামে ‘অসাধু চক্র’ নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর (Gangasagar) থেকে ফেরার পথে হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে নেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভাইরাস নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কোনও উদ্বেগের বিষয় থাকলে আমরা জানিয়ে দেবো। মুখ্যসচিব আজও বৈঠক করেছেন। যতটা জানা গিয়েছে সেই মোতাবেক এই ভাইরাস মারাত্মক কোনও বিষয় নয়।’ পাশাপাশি ‘অসাধু চক্র’ নিয়ে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বেসরকারি অসাধু চক্র সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। মোটা টাকা বিল করছে। এটা ঠিক নয়। আমরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করেছি সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসার জন্য। কিন্তু সাধারণ জ্বরেও মোটা টাকা বিল করছে।’

আরো পড়ুন :- অবশেষে ৩২ হাজার Group D কর্মী নিয়োগ শুরু ! প্রকাশিত হল বিজ্ঞপ্তিও

সম্প্রতি চিনে এইচএমপিভি’র একটি রূপের সংক্রমণ বেড়েছে। তারপর থেকেই উদ্বেগ বেড়েছে ভারত সহহ অন্যান্য দেশে। ভারতেও এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণের খবর আসতে শুরু করেছে। প্রথমে বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর শরীরে ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার খবর মেলে। তাদের এক জনের বয়স আট মাস, অপর জনের তিন মাস। বেঙ্গালুরুর দুই শিশুর পাশাপাশি আমেদাবাদের এক শিশু এবং মুম্বই থেকে কলকাতায় আসা এক শিশুরও এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুতেও এই ভাইরাসে সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে আরও দুই শিশুর শরীরে নতুন ভাইরাসের সংক্রমণের খবর মিলেছে।

আরও পড়ুন:– স্পিড ব্রেকারের ঝাঁকুনিতে অ্যাম্বুল্যান্সে বেঁচে উঠলেন ‘মৃত’, তারপর….

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফেও ভাইরাস নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সোমবারই এই ভাইরাস নিয়ে সব রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছে কেন্দ্র। সব রাজ্যকে শ্বাসজনিত অসুস্থতার উপর আরও বেশি করে নজর রাখা এবং পর্যালোচনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এইচএমপিভি সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষ করে সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাত চোখে, নাকে বা মুখে না দেওয়া, হাঁচি-কাশির সময়ে নাক-মুখ ঢেকে নেওয়া এসবের উপর জোর দিতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:– বরফের মতো সাদা হয়ে যাচ্ছে শিশুরা, শীতের কামড়ে আরও বেহাল গাজ়া

 

 

 

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন