IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণ ! একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের

By Bangla news dunia Desk

Published on:

rape

Bangla News Dunia, দীনেশ :- লেক থানা এলাকায় আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ! অভিযোগ দায়ের থেকে প্রাথমিক তদন্তে চূড়ান্ত গাফিলতি পেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশ, লেক থানার ওসি, তদন্তকারী অফিসার এবং যে অফিসার বক্তব্য লিখেছিলেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে।

এই ঘটনায় গ্রেফতারের পরের দিনই নিম্ন আদালত পুলিশের তদন্তের ত্রুটিতে জামিন দিয়েছিল ধর্ষণে অভিযুক্তকে। সেই জামিন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট । একইসঙ্গে বর্তমানে মহিলা থানার হাতে থাকা এই তদন্তে বিভাগীয় ডিসিকে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, বছর 53-র ওই অভিযুক্ত পেশায় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মী এবং ওই নির্যাতিতার পারিবারিক বন্ধু ৷ ওই মহিলার বাড়িতে 15 জুলাই সকালে হাজির হন অভিযুক্ত। মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ঢুকে ওই মহিলাকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে বিবস্ত্র করে ও তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার করে। শেষ পর্যন্ত চিৎকার করে তিনি কোনওভাবে ওই মদ্যপ ব্যক্তির হাত থেকে রেহাই পান। মহিলার স্বামী আইএএস অফিসার, বর্তমানে মুম্বইয়ে কর্মরত।

সেদিনই নির্যাতিতা লেক থানায় গিয়ে পুরো ঘটনার লিখিত অভিযোগ করেন। সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও, পরেরদিন আলিপুর আদালতে তোলা হলে তদন্তে বহু ত্রুটি ধরে আদালত ও অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে। অভিযোগে মহিলা পুলিশ অফিসারকে তদন্তকারী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব দেওয়ার কথা থাকলেও, পুরুষ অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেন থানার আইসি।

এরপর আইএএস অফিসারের স্ত্রী অভিযোগ জানানোর পর, সেই অভিযোগপত্রের সবচেয়ে গুরুতর অংশ, আংশিক বদলে তুলনায় লঘু ধারা প্রয়োগ করা হয়। এর জেরে অভিযুক্তকে নিম্ন আদালতে তোলা হলে সেদিনই তাকে জামিন দেয় আলিপুর কোর্ট। আলিপুর আদালত লালবাজারকে তদন্তে ত্রুটি নিয়ে সতর্ক ও করেছিল। যদিও রাজ্যের যুক্তি ছিল, ইতিমধ্যে তদন্তকারী অফিসারকে শো-কজ করা হয়েছে। তদন্তের ভার থানা থেকে মহিলা পুলিশ থানায় দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্তের জামিন খারিজের আবেদন করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন:- হামেশাই খান Pan-D, প্যারাসিটামল? ডেকে আনছেন মহাবিপদ! গুণমান পরীক্ষায় ফেল ৫৩ ওষুধ। রয়েছে নকল ঔষধ প্রতিষ্ঠানও

এদিন বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজ নির্দেশে জানিয়েছেন, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মন, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করেছে আদালত।

#End

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

 

 

 

 

 

 

 

আরো খবর দেখুন :- ভারতের কোন রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘু ? কোথায় বেশি মুসলিমরা ? দেখুন তথ্য পরিসংখ্যান

আরো খবর দেখুন :- জানেন ভারতের পূর্বনাম কি ছিল ? কিভাবে এল আর্যরা ? জানুন অজানা ইতিহাস

আরো খবর দেখুন : শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দ্রুত মুক্তি দেবে হোমিওপ্যাথি

 

 

 

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন