DA Case Verdict: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) মামলার রায় ঘোষণা নিয়ে রাজ্যজুড়ে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকা এই মামলার চূড়ান্ত ফলাফল কবে আসবে, তা নিয়ে কর্মচারীদের মনে জল্পনা ও উৎকণ্ঠা এখন তুঙ্গে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় সম্প্রতি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যে তথ্য সামনে এনেছেন, তা একদিকে যেমন বাস্তব পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরেছে, তেমনই অন্যদিকে কিছুটা ধোঁয়াশাও তৈরি করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান পরিস্থিতি ও কজলিস্ট আপডেট
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল বেঞ্চের কোনো কজলিস্ট বা কার্যতালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি। এর ফলে আজ ১৮ই ডিসেম্বর বা আগামীকাল ১৯শে ডিসেম্বর ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হবে কি না, তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন মহলে জোর গুঞ্জন শোনা গেলেও, এখনও পর্যন্ত আদালতের পক্ষ থেকে বা অফিসিয়ালি কোনো নিশ্চিত বার্তা পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপডেট না আসা পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়।
ছুটির ক্যালেন্ডার ও রায়ের ভবিষ্যৎ
মামলার রায় যদি ১৯শে ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার প্রকাশিত না হয়, তবে এই বছর রায় বেরোনোর সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। কারণ, এরপরই সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘ শীতকালীন ছুটিতে চলে যাচ্ছে। নিচের সময়সূচীটি লক্ষ্য করলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে:
| তারিখ | বিবরণ |
|---|---|
| ২০ ও ২১শে ডিসেম্বর | শনি ও রবিবার (আদালত বন্ধ) |
| ২২শে ডিসেম্বর থেকে ২রা জানুয়ারি | সুপ্রিম কোর্টের শীতকালীন ছুটি |
| ৩ ও ৪ঠা জানুয়ারি | শনি ও রবিবার (আদালত বন্ধ) |
| ৫ই জানুয়ারি | সুপ্রিম কোর্ট পুনরায় খুলবে |
আইনজীবীদের একাংশের মতে, যদি এই সপ্তাহের মধ্যে রায় দান না করা হয়, তবে মাননীয় বিচারপতিরা শীতকালীন ছুটির অবসরে রায় লেখার কাজ সম্পন্ন করবেন। সেক্ষেত্রে আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আদালত খোলার পর যেকোনো দিন এই রায় ঘোষণা হতে পারে।
রায় ঘোষণায় বিলম্ব কেন?
৮ই সেপ্টেম্বর এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছিল। আইনি প্রথা অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনাল বা উচ্চ আদালতে সাধারণত রায় রিজার্ভ থাকার ১ মাস ১২ দিন বা ১ মাস ১৭ দিনের মধ্যে তা প্রকাশ করার নজির রয়েছে। সেই হিসেব কষেই সরকারি কর্মীরা আশা করেছিলেন যে নভেম্বর মাসের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুতে হয়তো রায় মিলবে। কিন্তু তা না হওয়ায় হতাশা বেড়েছে।
মামলার দীর্ঘ যাত্রাপথে দেখা গেছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বহুবার শুনানির তারিখ এলেও সঠিক শুনানি হয়নি। গত ১৬ই মে, বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র একটি অংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর ম্যারাথন শুনানির শেষে বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি পি.কে. মিশ্রের বেঞ্চে মামলাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়।
বর্তমানে ১৯শে ডিসেম্বরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। তবে সেই আশা অত্যন্ত ক্ষীণ। কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুনির্দিষ্ট কোনো খবর পাওয়া মাত্রই তা কর্মচারী ও পেনশনারদের জানিয়ে দেওয়া হবে। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে সকলকে।














