DA Case Verdict: রাজ্য সরকারি কর্মীদের নজরে এখন একটাই বিষয় – সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলার রায় কবে বেরোবে? গত ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলার শেষ শুনানি সম্পন্ন হয়েছিল। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে, পার হয়েছে দীপাবলি এবং দশেরার মতো বড় উৎসব। ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রায় তিন মাস সময় অতিক্রান্ত, অথচ রায়ের কোনো নামগন্ধ নেই। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘ অপেক্ষার জেরে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে দানা বাঁধছে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা। এমতাবস্থায় ডিএ মামলার সঙ্গে প্রথম থেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা বিশিষ্ট আইনজীবী প্রবীর বাবু বিশেষ ইঙ্গিত দিলেন।
মামলার বর্তমান পরিস্থিতি এবং দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে নানান জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন প্রবীর বাবু সকলকে বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, রায়দানে বিলম্ব হলেও নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।
সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার বর্তমান স্ট্যাটাস
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত সেপ্টেম্বর মাসে মামলার শুনানি শেষ হয়। কিন্তু কেন রায়দানে এতটা সময় লাগছে? নিচে একটি তথ্যের সারণী দেওয়া হলো যা বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে সাহায্য করবে:
| বিষয় | বিবরণ |
|---|---|
| শেষ শুনানির তারিখ | ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ |
| অতিক্রান্ত সময় | প্রায় ৩ মাস |
| আসন্ন ছুটি | সুপ্রিম কোর্টের শীতকালীন অবকাশ (১৯শে ডিসেম্বর থেকে) |
| সম্ভাব্য রায়ের সময় | শীতকালীন ছুটির আগে |
প্রবীর বাবুর বিশ্লেষণ: ঐতিহাসিক রায়ের অপেক্ষা?
আইনজীবী প্রবীর বাবু, যিনি এই মামলার শুরু থেকেই প্রতিটি ধাপের সাক্ষী, তিনি মনে করেন এই বিলম্বের পেছনে একটি ইতিবাচক দিক রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিতে চলেছে, তা ‘ঐতিহাসিক’ হতে পারে। যেহেতু বিষয়টি লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর রুজি-রুটির সঙ্গে যুক্ত এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী, তাই মাননীয় বিচারপতিরা তাড়াহুড়ো না করে প্রতিটি দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখছেন।
জনকল্যাণমুখী এবং আইনি দিক থেকে নিশ্ছিদ্র রায় দেওয়ার লক্ষ্যেই হয়তো আদালত কিছুটা বাড়তি সময় নিচ্ছে। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে বা গুজবে কান না দিয়ে আদালতের ওপর ভরসা রাখাই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।
শীতকালীন ছুটির আগেই কি রায় ঘোষণা?
এখন প্রশ্ন হলো, ঠিক কবে জানা যাবে চূড়ান্ত ফলাফল? প্রবীর বাবুর ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যবনিকা পতন হতে পারে এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার।
- হাতে সময় মাত্র ২ সপ্তাহ: আগামী ১৯শে ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি বা উইন্টার ভ্যাকেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। তার আগে আদালতের হাতে কার্যকরী সময় রয়েছে প্রায় ১৪ দিন।
- প্রথা অনুযায়ী সম্ভাবনা: সাধারণত দেখা যায়, দীর্ঘ শুনানির পর বড় কোনো মামলার রায় আদালতের দীর্ঘ ছুটির ঠিক আগেই ঘোষণা করা হয়। সেই প্রথা বা ট্রেন্ড বজায় থাকলে, ১৯শে ডিসেম্বরের আগেই দুই মাননীয় বিচারপতি ডিএ মামলার রায় বা নির্দেশনামা প্রকাশ করতে পারেন।
উপসংহারে বলা যায়, সরকারি কর্মচারীদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে চললেও, আইনি প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস রাখা ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনো উপায় নেই। প্রবীর বাবুর আশ্লেষণ যদি সঠিক হয়, তবে বড়দিন বা নতুন বছরের আগেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা কোনো বড় খবর পেতে পারেন। এখন দেখার বিষয়, আগামী দুই সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের কজলিস্টে এই মামলাটি কবে তালিকাভুক্ত হয়।














