অর্শ একটি মারাত্মক রোগ ! মুক্তির সহজ পথ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Homeopathy

Bangla News Dunia , Pallab : নানাবিধ কারনে অর্শ রোগ জন্মাইতে পারে। গুহ্য দ্বারে সুত্রবত কৃমি জনিত উপসর্গ এই রোগ অধিক হয়। অলস প্রকৃতির রোগী যাহারা বসিয়া বসিয়া দিন কাটায় তাহারা প্রায়ই এই পীড়ায় ভোগীতে দেখা যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য ও এই রোগের কারন। অর্শ রোগ প্রায়ই দুই প্রকার দেখা যায়। অন্তঃবলি। যে বলি গুহ্য দ্বারের ভিতরে থাকে তাহাকে বলে অন্তঃবলি ও বহিঃবলি। যে বলি গুহ্য দ্বারের ভিতরে থাকে তাহাকে বলি অন্তঃবলি আর গুহ্য দ্বারের বাহিরে থাকে তাহাকে বলে বহিঃবলি। অন্তঃবলি থেকে প্রায়ই রক্তস্রাব হয়। বহিঃবলি থেকে তেমন একটা রক্ত স্রাব হয় না । বংশগত কারনেও এই রোগ হইতে পারে ।

চিকিৎসা —–

কলিনসোনিয়া (Collinsonia) :যদি জানতে পারেন রোগীর কোষ্ঠবদ্ধ শুকনা মল অতি কষ্টে নির্গত হয়। গুহ্যদ্বার ব্যথা করে মনে হয় যেন কতগুলি কাচের টুকরা মলদ্বারে ঢুকিয়া রহিয়াছে, খোচা লাগে, রক্ত পড়ে, জ্বলে, রক্ত স্রাবীয় অর্শে ইহা মহৌষধ। ইহা ব্যবহারে বহু রোগী আরোগ্য হইয়াছে।

আরো পড়ুন:- এবারে 5 টাকার কয়েন বাতিল করবে RBI? সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান

ইসকিউলাস হিপ (Aesculas Hip): কোমরে ব্যথা এই ঔষধের নিত্য সহচর। অর্শ (গেঁজ) রোগীর কোমরে অত্যন্ত ব্যথা রক্ত স্রাব তেমন একটা হয় না। যদিও হয় অনেক দিন পরে অল্প। মলদ্বারে খোচানি, টাটানি, ব্যথা, মলদ্বারে চুলকায়, জ্বলে ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপকারী।

আর্সেনিক এলব (Arsenic Alb):অস্থিরতা, খিট খিটে স্বভাব, শীত কাতর রোগীদের মলদ্বারে অত্যন্ত জ্বালা ও বেদনা, ছটফট করে। সে জ্বালা ও বেদনা গরমে আরাম, গরম সেকে আরাম হইলে আর্সেনিক অব্যর্থ ।আমি এক সময় একটি রোগী পাইয়াছিলাম গুহ্যদ্বারের জ্বালায় ও বেদনায় রোগী অস্থির। চুলায় গরম মাটিতে গুহ্যদ্বার লাগাইয়া সেক লইলে আরাম পাইত জানিয়া আমি তাহাকে আর্সেনিক 200 শক্তি 20 নং গ্লোবিউলস 2 টি অর্ধ আউন্স ডিস্টিল ওয়াটারে মিশাইয়া সেবন করিতে দেই। দুই দিন পর সংবাদ পাইলাম রোগী ভাল আছে ।

এসিড সালফ (Acid Sulps): কাজে কর্মে অত্যন্ত ব্যস্ত সব কাজে তাড়াতাড়ি করে। এই ধাতুর রোগীদের যদি জানিতে পারেন যে, অর্শ বড় হইয়া মলদ্বারে বন্ধ হইয়া গিয়াছে। গন্ধহীন রসে কাপড় ভিজিয়া যায় গুহ্যদ্বার জ্বলে। এসিড সালফ দিবেন উপকার হইবে।

মেডোরিনাম (Medorrhinum): অর্শ (গেঁজ) বা ভগন্দর পীড়ায় মলদ্বার হইতে মাংস ধোয়া জলের মত দুর্গন্ধ রস ঝরিলে মেডোরিনাম অব্যর্থ ।

এসিড নাইট (Acid Nit): খিট খিটে স্বভাব, শীত কাতর, প্রস্রাবে তীব্র গন্ধ, সহজে ঠান্ডা লাগার প্রবনতা রোগীদের পায়খানা নরম বা শক্ত যাহাই হোক পায়খানার সময় ও পরে মলদ্বারে অত্যন্ত জালা। মলদ্বারে কতগুলি সুঁচ বা আলপিন ফোঁটানো, খোচা লাগে এইরুপ অনুভবে ইহা উপকারী।

এসিড মিউর (Acid Mur): মেজাজ খিট খিটে, সামান্য কারনে রাগিয়া উঠে, শীত কাতর। এই ধাতুর রোগীদের জিজ্ঞাসায় জানিতে পারিলেন অর্শে টাটানি ব্যথা কাপড়ের ঘর্ষন লাগিলেও কষ্ঠ। গরম জলে বা সেকে কিঞ্চিত উপশম রোধ করে। ঠান্ডা জলে যন্ত্রনা বাড়ে। এসিড মিউর ব্যবস্থা করিবেন উপকারী হইবে।

এলো (Aloe): অলস প্রকৃতির, দৈহিক বা মানসিক পরিশ্রমে অনিচ্ছা, অল্প পরিশ্রম ক্লান্ত, গরম কাতর, পায়খানায় বসিয়া বেগ দিলে অর্শের বলী আঙ্গুরের থোকার মত বাহির হইয়া পড়ে। গুহ্যদ্বার চুলকার জ্বলে ।সেই জ্বালা ঠান্ডা জলে আরাম বোধ করে। ইত্যাদি লক্ষনে ইহা উপকারী।

মিলিফোলিয়ম (Millefolium): যন্ত্রনাবিহীন অর্শ রোগ গুহ্যদ্বার হইতে টক টকে লাল রক্ত স্রাবে ইহা প্রয়োগ করবেন ।

ব্লমিয়া অডোরেটা (Blumia Odorata): ইহা আমাদের বাংলাদেশী ঔষধ। রক্ত স্রাবীয় অর্শে একটি মহৎ কার্যকারী ঔষধ।

নাক্স ভমিকা (Nux Vom): সালফার (Sulphur): নানা প্রকার অর্শ রোগের এই ঔষুধ দুইটি ব্যবহার হইয়া আসিতেছে। সকালে সালফার শক্তি 30 এক মাত্রা। সন্ধ্যায় নাক্স শক্তি 30 এক মাত্রা। এই ভাবে কিছু দিন সেবন করার পর উক্ত নিয়মে 200 শক্তি সেবন করিলে অর্শ রোগে উপকার হয়। ডাঃ কালির মতে সালফার 1mবা 10m প্রাতে এক মাত্রা সেবনে অর্শ রোগে অব্যর্থ ফল হয়।

আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হোন তাহলে চিকিৎসা নিতে বিস্তারিত রোগ লক্ষন ম্যাসেজ দিয়ে জানান(9932705987)। #End

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন