Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : শরীরে দুইভাবে তৈরি হয় ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি। প্রথমত ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমরা সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অর্জন করতে পারি ইমিউনিটি। দ্বিতীয়ত, আমাদের শরীরে সেই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই ইমিউনিটি কিন্তু বসে থাকে না। বরং নিজেকে পরবর্তী যুদ্ধের জন্য তৈরি করে নিতে থাকে। পরে যদি সেই ভাইরাস আবার শরীরে আক্রমণ চালায়, তখন ইমিউনিটি শরীরের ঢাল হয়ে দাঁড়ায়। ফলে রোগ হয় না। এটা হল প্রাকৃতিক উপায়ে অর্জিত ইমিউনিটি।
তবে বর্তমানে একটি গবেষণা বলছে, করোনার ওমিক্রন বিএ.২ বা বিএ.১-এ আক্রান্ত হওয়ার পরও শরীরে ইমিউনিটি তৈরি হয় না। এক্ষেত্রে ওমিক্রন ইনফেকশন হওয়ার পর রোগীর রক্তের পরীক্ষা করে এই বিষয়টি জানা গিয়েছে। আগে ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে থাকলে সুরক্ষা বেশি মিলতে পারে। কিন্তু টিকা নেওয়া না থাকলে সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। গবেষণাটি এখন প্রকাশিত হয়েছে রিসার্চ স্কোয়ারে। তবে গবেষণাটির পিয়ার রিভিউ এখনও হয়নি।
মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন , ওমিক্রন হওয়ার পর শরীরে যে ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে তা অন্য ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে একেবারেই কাজ করতে পারছে না। বিএ.২ অ্যান্টিবডি বিশেষ ভাবে কোনও ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেয় না। সুরক্ষা পেতে চাইলে ভ্যাকসিন নেওয়াটা ভালো পথ বলে জানাচ্ছে গবেষণা। গোটা পৃথিবীতেই ফের একবার বাড়তে শুরু করেছে করোনা। বিশেষত, এশিয়া ও ইউরোপে বাড়তে শুরু করেছে। ভারতে বাড়তে শুরু করেছে করোনা।
সংক্রমণের পিছনে করোনার বিএ.১, বিএ.২ এবং এক্সই (XE) ভ্যারিয়েন্ট থাকলেও থাকতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ দল। প্রাকৃতিক ইনফেকশন থেকে পাওয়া ইমিউনিটি ও টিকা, এই দুইয়ের যুগলবন্দিতেই সমস্যা দূর করা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল