Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আমাদের শরীরের অগ্ন্যাশয় থেকে বেরোয় ইনসুলিন হরমোন। এই হরমোন রক্তে উপস্থিত শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে। যার ফলে সুগার বাড়ার সুযোগ পায় না। তবে কিছু কিছু বাচ্চার অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন হরমোন তৈরি করতেই পারে না। যার ফলে তাদের রক্তে সুগার লেভেল এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়। আর এই সমস্যার নামই হলো টাইপ ১ ডায়াবিটিস।
মুশকিল হলো, বর্তমানে ভারতের মতো দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে অনেক অভিভাবকই রোগটাকে ঠিক সময়ে ধরে ফেলতে পারছে না। যার ফলে বিপদ বাড়ছে। তাই সমস্যা গুরুতর দিকে যাওয়ার আগেই টাইপ ১ ডায়াবিটিসের কিছু লক্ষণ সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
উপসর্গ
১. প্রচণ্ড জল তেষ্টা
২. বারবার প্রস্রাব, টয়লেট ট্রেনিং দেওয়ার পরও বাচ্চা বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলতে পারে
৩. অত্যধিক খিদে পাওয়া
৪. হুট করে ওজন কমে যাওয়া
৫. সারাদিন ক্লান্তি
৬. বিরক্তি বা আচরণে বদল
৭. মুখে দুর্গন্ধ ইত্যাদি
এই ধরনের লক্ষণ দেখলে আর বাড়িতে বসে থাকা চলবে না। বরং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান। তা হলেই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবেন।
অঙ্গের হাল বেহাল করে দিতে পারে
টাইপ ১ ডায়াবিটিস খুব জটিল রোগ। এই রোগকে কন্ট্রোলে না রাখলে হার্টের রক্তনালীর ক্ষতি হতে পারে। সেই সঙ্গে নার্ভ ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। পরবর্তী সময়ে কিডনির ক্ষতি হয়। দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। এছাড়া এই অসুখে ভুক্তভোগীদের অস্টিওপোরোসিস হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই যে ভাবেই হোক এই রোগকে বশে রাখতে হবে।
রোগ নির্ণয় জরুরি
সন্তানের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবিটিসের কোনও লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসক ফাস্টিং এবং পিপি টেস্ট করাতে বলতে পারেন। তাতে রোগ ধরা পড়ে যায়। এর পাশাপাশি চিকিৎসক এইচবিএ১সি পরীক্ষাও করাতে বলতে পারেন। এই টেস্টের মাধ্যমে ৩ মাসের গড় সুগার মাপা হয়। তার পর শুরু করা যায় চিকিৎসা।
চিকিৎসা কী?
এই রোগের মূল চিকিৎসা হলো ইনসুলিন। একবার ধরা পড়লে সারাজীবনই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ইনসুলিন নিতে হয়। তাতেই রোগ নিয়ে সুস্থ থাকা যায়। প্রসঙ্গত, এখনকার ইনসুলিন অত্যন্ত আধুনিক। এগুলি নেওয়ার সময় ব্যথা প্রায় হয় না। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দিনে ২ বারের বেশি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাই সন্তানকে চিকিৎসক ইনসুলিন নিতে বললে সেই পরামর্শ মেনে নিন। তা হলেই রোগ থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সন্তান একদম সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে পারবে।
ডায়েটে বদল আনুন
এই সমস্যাকে বশে রাখতে চাইলে সন্তানের ডায়েটে বদল আনতে হবে। তাকে মিষ্টি ও ফাস্ট ফুড খেতে দেবেন না। তার বদলে শাক, সবজি বেশি করে খাওয়ান। নিয়মিত খাওয়াতে পারেন মাছ, মাংস। ব্যস, এই ধরনের খাবার খেলেই সুস্থ থাকবে আপনার ছোট্টটি। তার অসুখ আর বাড়াবাড়ি দিকে মোড় নেবে না।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুন:– কবে আসবে আপনার মৃত্যু? বলে দিচ্ছে এআই-চালিত ‘ডেথ ক্লক’। কিভাবে? জানলে অবাক হবেন
আরো পড়ুন:– সস্তা স্যামসাঙ স্মার্টফোন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র 6499 টাকার বিনিময়ে, পাওয়া যাবে 50MP Camera এবং 5000mAh Battery