Bangla News Dunia, সারদা দে :- সারা বিশ্বে প্রতিদিন করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর আগে গবেষকরা দাবি করেছিলেন যে করোনাতে বয়স্ক,যুবক এরা আক্রান্ত হলেও শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কম। কিন্তু এখন গবেষকরা সেই কথা আর জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। যে কোনো বয়সের শিশুরা করোনা আক্রান্ত হতে পারে বলে তারা জানাচ্ছেন। ষাটোর্ধ এবং ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের টিকাকরণ অনেক আগে থেকেই চালু হয়ে গিয়েছিলো। এখন ১৭ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে একেবারে দুগ্ধজাত শিশুদের ক্ষেত্রে টিকাকরণের কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে এখনো সঠিকভাবে তা জানানো হয়নি।
তবে গবেষকরা বলছেন যে শিশুদের ক্ষেত্রে টিকার থেকেও বড়ো অস্ত্র হলো মাতৃদুগ্ধ। বহু আগে থেকে ডাক্তাররা বলে আসছেন যে শিশুদের কাছে মাতৃদুদ্ধ হলো অমৃত সমান। শিশুদের জন্মের পরে যেকোনো শারীরিক সমস্যার সমাধান করতে কিংবা পরবর্তীকালে সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে মাতৃদুগ্ধের কোনো বিকল্প নেই। সেই মাতৃদুগ্ধ এইবার করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি প্রদান করে সদ্যোজাতদের। ফলে আলাদা করে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরী করার জন্য টিকার প্রয়োজন পরে না। আমেরিকার ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি হাসপাতালের যৌথ গবেষণার ফলশ্রুতি হিসেবে সামনে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন ইমিউনোলজি’ তে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি।
আরো পড়ুন :- করোনা ঠেকাতে দরকার ইমিউনিটি ! কিভাবে বাড়াবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অতিমারী শুরু হওয়ার পরেও আমেরিকার’সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন’ প্রসূতিদের স্তন্যপানের অনুমতি দিয়েছিলো। এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হওয়ার পরে নিঃসন্দেহে এই সুপারিশটিকে যথাযথ বলে মনে করেছে সারা বিশ্বের গবেষক এবং ডাক্তাররা। এই গবেষণার অন্যতম মূল গবেষক মিশেল কে শেলী জানিয়েছেন কোভিড আক্রান্ত হওয়ার দুমাস পরেও মাতৃদুগ্ধে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি থাকছে। আর এই অ্যান্টিবডিগুলি ডেল্টা ওমিক্রন সহ কোরোনার সব কটি ভ্যারিয়েন্ট এর হাত থেকে সদ্যোজাতকে রক্ষা করতে সক্ষম হচ্ছে।
আরো পড়ুন :- শীতে গাটের ব্যাথার সমস্যায় ভুগছেন ? দেখুন মুক্তির সহজ টিপস
গবেষণায় দেখা গেছে আক্রান্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই মায়ের শরীরে শিশুকে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরী হয়ে যাচ্ছে। এমনকি কোভিডে আক্রান্ত হয় মায়ের স্তন্যদুগ্ধে করোনা ভাইরাসের কোনো জেনেটিক পদার্থ থাকছে না। যার অর্থ মায়ের শরীরে করোনা থাবা বসলেও সংক্রমিত হচ্ছে না স্তন্যদুগ্ধ। তবে এর পেছনে আসল কারণ এখনো গবেষকরা জানতে পারেননি। স্তন্যদুগ্ধে না পেলেও মায়েদের স্তনের ত্বকে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে স্তনের ত্বক ভালো করে ধুয়ে দিলে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে খুব সামান্য পরিমানে। কোভিড সংক্রমিত মায়েদের হাঁচি কিংবা কাশি থেকেই ভাইরাসের জেনেটিক পদার্থগুলি স্তনের ত্বকে আসছে।