Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মদ্যপানে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এ কথা জানা সত্ত্বেও অনেকে মদ খান। কারও রোজের সঙ্গী মদ, কেউ বা খানিক হিসেব করেই মদ্যপান করেন। তবে সম্প্রতি ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার থেকে কতটা পরিমাণ মদ্যপান স্বাস্থ্যের জন্য সুরক্ষিত, তার একটি ডায়েটরি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষেরা দিনে দুই একক এবং প্রাপ্তবয়স্ক মহিলারা দিনে এক একক মদ খেতে পারেন। কিন্তু এই এককও বিভিন্ন মদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম। বিয়ারের ক্ষেত্রে এক একক অর্থাৎ ৩৪১ মিলিলিটার। হুইস্কি ৩০ মিলিলিটার এবং ওয়াইন ১৪২ মিলিলিটার।
এই ইউএস ডায়েটরি গাইডলাইন্স মেনে মদ্যপান করলে শরীরে কোনও ক্ষতি হবে না, এমনটাও কিন্তু নয়। ঠিক কতটা পরিমাণ অ্যালকোহল খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে না, তার কোনও নির্দিষ্ট মাপ নেই। বরং, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এক ফোঁটা মদও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এমনকী যে কোনও অ্যালকোহল সেবনেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে হু জানিয়েছে, ‘যত বেশি মদ্যপান করবেন, ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়বে।’ গত কয়েক সপ্তাহ আগে ইউএস-এর সার্জেন ডাঃ বিবেক মূর্তি সতর্ক করেছেন যে, মদ খাওয়ার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। মদ্যপানের জেরে ৭ ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। কোলন, ওরাল, লিভার, গলা থেকে শুরু করে খাদ্যনালীর বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার হতে পারে। এমনকী মদ্যপান করলে মহিলাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন:– কোন ব্যাঙ্ক থেকে পার্সোনাল লোন নেওয়া সুবিধাজনক? প্রসেসিং চার্জ কার বেশি? রইল তালিকা
এ প্রসঙ্গে কলকাতার বিশিষ্ট অঙ্কোলজিস্ট সার্জেন গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘মদ্যপানের জেরে খাদ্যনালীর ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সার, ওরাল ক্যান্সার এবং আরও নানা ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। মদ্যপানের জেরে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ১০ গুণ বেড়ে যায়। এর সঙ্গে যদি তামাক সেবন করেন, সেটা আরও বিপজ্জনক।’
সুতরাং, মদ্যপান কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য সুরক্ষিত নয়। তবে, আপনার ক্যান্সার হবে কি না, তা নির্ভর করছে আপনি কত দিন ধরে কতটা পরিমাণে মদ্যপান করছেন। ক্যান্সার যদি নাও হয়, ফ্যাটি লিভার, লিভার সিরোসিস, ডায়াবিটিস, হাই কোলেস্টেরল এবং ওবেসিটিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছেই। ডাঃ মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে হলে মদ্যপান সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা উচিত। এতে অন্যান্য ক্রনিক অসুখের ঝুঁকিও কমবে।