Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : করোনার সঙ্গে লড়াই করছে গোটা বিশ্ব। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন করে করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ অফিস সব কিছুই খুলে গিয়েছে। মাস্কের ব্যবহার তুলে নেওয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে। কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন, আর সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে মাস্কের ব্যবহারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সংক্রমিতের সংস্পর্শে এসে সংক্রমিত হচ্ছেন।
আগেই বাজারে টিকা এসেছে বটে, কোভিড মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট কোনও ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফাইজারের কোভিড অ্যান্টিভাইরাল ক্যাপসুল বা ট্যাবলেট জন্য সুপারিশ করে। মৃদু এবং মাঝারি উপসর্গ বিশিষ্ট করোনা রোগীদের জন্য এই পিল ভালো কাজ করবে। রেমডিসিভির পর Molnupiravir-কেও ভালো বলেছে। WHO-র মতে ওষুধ করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
করোনা টিকা বাজারে এলেও নতুন ভ্যারিয়্যান্টের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে ফলে চিন্তার মেঘ কিছুতেই কাটছে না। নির্দিষ্ট ওষুধের প্রয়োজন বলে মনে করছে WHO। এই ওষুধ করোনা নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই কাজ করবে বলে আশাবাদী WHO বিশেষজ্ঞরা। গবেষণার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে Paxlovid হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পা ৮৫%।
WHO বলছে এই ওষুধ যারা টিকা নেয়নি বা কেবলমাত্র উপসর্গ দেখা গিয়েছে এমন রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে কার্যকরী। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, গর্ভবতী এবং যে মায়েরা সন্তানদের স্তন পান করান তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধের ব্যবহার করা উচিত নয়। পাঁচ দিনের ৬টি ট্যাবলেট খেতে হবে। Paxlovid Pills কোর্সটি পাঁচ দিন স্থায়ী রাখা হয়। ওষুধটি কিনে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করা যাবে ব্যবহারও।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল