Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বংশে কারও ডায়াবিটিস নেই। তাই ধরেই নিয়েছেন যে কখনও ডায়াবিটিস শরীরে থাবা বসাবে না। এমন ভাবনা যে একেবারেই ঠিক নয়, জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। চুপিসারে ডায়াবিটিস যেকোনও বয়সে হানা দিতে পারে।
দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস ধরা না পড়লে বা সঠিক চিকিৎসা হলে কিডনি, লিভার, চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে অস্বাভাবিক হারে চুলও ঝরতে থাকে। তবে ডায়াবিটিস হলে শরীরে বেশ কিছু লক্ষণও দেখা দেয়। যেগুলি দেখলে বোঝা যায়, কেউ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে কোনও ক্ষত সহজে সারতে চায় না। হয়তো সপ্তাহ তিনেক আগে পায়ে কেটে গিয়েছে। কিন্তু মাঝে প্রায় ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও ক্ষত শুকোনোর নাম নেই। এই লক্ষণ কিন্তু এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।
বেশি জল খেলে বারে বারে প্রস্রাবের বেগ আসা স্বাভাবিক। কিন্তু জল অল্প খেয়েও যদি এমন হয়, তা হলে হতে পারে আপনি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত। অনেকেরই এই কারণে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়।
শীতে এমনিতে পিপাসা কম পায়। তাতে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু শীতে যদি সারা ক্ষণ গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, কিংবা সারা ক্ষণ জল তেষ্টা পায়, তা বলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়ার ইঙ্গিত থাকে।
সময়মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়ার পরেও কি খিদে পায়? কিংবা পেট ভরে খেয়েও কি আবার খেতে ইচ্ছা করে? তা হলে রক্তে শর্করা বাড়ল কি না, সেটা এক বার যাচাই করে নেওয়া জরুরি। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে সারা ক্ষণ খিদে পায়।
ডায়াবেটিকদের ঘাড়, গলা, দুই বাহুমূলে ছোপ থাকে। আপনারও কি তেমনই হচ্ছে? প্রসাধনী কিংবা ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেও যদি এই দাগছোপ ফিকে না হয়, তা হলে হতে পারে রক্তে শর্করা বেশি আছে।
ডায়াবিটিসের অন্যতম লক্ষণ হল সারা ক্ষণ দুর্বল লাগা। এর অবশ্য একটি কারণ রয়েছে। বার বার প্রস্রাবের ফলে শরীর থেকে খনিজ বেরিয়ে যায়। সেই কারণে বেশি ক্লান্ত লাগে।
রক্তে শর্করা বাড়লে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ব্যাক্টেরিয়া, ফাঙ্গাসের আক্রমণ বেড়ে যায়। সেই কারণে ঘন ঘন ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ত্বকে অস্বস্তি, চুলকানি, জ্বালার সমস্যা যদি হতেই থাকে, তা হলে এক বার রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি।