কোল্ড এলার্জির সমস্যায় সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Updated on:

Homeopathy

Bangla News Dunia , Pallab : কোল্ড এলার্জি (Cold Allergy) হলো একটি শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা ঠান্ডা তাপমাত্রার কারণে শরীরে এলার্জির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে। এর বৈজ্ঞানিক নাম Cold Urticaria। এটি ত্বক বা শরীরের অন্যান্য অংশ ঠান্ডার সংস্পর্শে আসার পর সৃষ্ট হয়। এই অবস্থার মূল বৈশিষ্ট্য হলো ঠান্ডার কারণে ত্বকে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা ফুলে যাওয়া।

লক্ষণসমূহ:

1. ত্বকের প্রতিক্রিয়া: ঠান্ডা পরিবেশে বা ঠান্ডা জলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ফোলাভাব এবং চুলকানি।

2. ব্যথা বা অস্বস্তি: শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে যদি ঠান্ডা পরিবেশে নাক বা শ্বাসনালী প্রভাবিত হয়।

3. সিস্টেমিক রিঅ্যাকশন: খুব বেশি ক্ষেত্রে সারা শরীরে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে, যা অ্যানাফাইল্যাক্সিসের কারণ হতে পারে।

4. ঠান্ডা পানিতে সমস্যা: ঠান্ডা পানিতে নামলে শরীরের অংশ বিশেষে ফুসকুড়ি বা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়।

কারণ:

কোল্ড এলার্জি সাধারণত শরীরের ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে।

মাস্ট সেল ডি-গ্র্যানুলেশন: ঠান্ডার সংস্পর্শে ত্বকের মাষ্ট সেল থেকে হিস্টামিন নির্গত হয়, যা এলার্জির উপসর্গ সৃষ্টি করে।

বংশগত কারণ বা কোনো পূর্ববর্তী ভাইরাল সংক্রমণের পর এটি হতে পারে।

আরো পড়ুন :- দিল্লির ‘খান চকে’র নাম বদলে দিল মোদী সরকার ! জানুন কি হল নতুন নাম ?

ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যাক্টর:

1. বংশগত সমস্যা বা জেনেটিক প্রভাব।

2. অন্য কোনো অটোইমিউন বা অ্যালার্জিক সমস্যার ইতিহাস।

3. হিমশীতল পরিবেশে বেশি সময় ব্যয় করা।

**কোল্ড এলার্জি বা ঠান্ডা সংবেদনশীলতার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ ওষুধগুলোর তালিকা ও তাদের কার্যকারিতা নিচে দেওয়া হলো:

১. ডালকামারা (Dulcamara)

ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে উপসর্গ বৃদ্ধি। নাক দিয়ে পানি ঝরা, ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‍্যাশ। গরম পরিবেশে আরাম অনুভূত হয়।

২. ইউরটিকা ইউরেন্স (Urtica Urens)

ঠান্ডার সংস্পর্শে ত্বকে চুলকানি, ফোলা এবং ফুসকুড়ি। চুলকানির সঙ্গে ত্বকে জ্বালাভাব দেখা দেয়।

৩. রাস টক্সিকোডেনড্রন (Rhus Toxicodendron)

ঠান্ডা বাতাসে ত্বকের চুলকানি, ফোলা এবং ব্যথা। গরম সেক দিলে আরাম হয়। ঠান্ডা জলে সংস্পর্শে অস্বস্তি বৃদ্ধি পায়।

৪. অ্যাপিস মেলিফিকা (Apis Mellifica)

ত্বক লালচে, ফুলে যাওয়া এবং তীব্র চুলকানি। ফোলা অংশে দাহভাব এবং স্পর্শে ব্যথা। ঠান্ডা পরিবেশে শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি থাকতে পারে।

৫. পালসাটিলা (Pulsatilla)

ঠান্ডা বাতাসে নাক দিয়ে জল ঝরা, হাঁচি এবং শুষ্কতা। ঠান্ডা খাবার বা পানীয় গ্রহণের পর সমস্যা বাড়ে। এটি শিশু এবং নারীদের জন্য কার্যকর।

৬. কার্বো ভেজিটাবিলিস (Carbo Vegetabilis)

ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে নীলচে রঙ ধারণ করা। রক্ত সঞ্চালন কমে যাওয়া এবং দুর্বলতা।

৭. ন্যাট্রাম মিউর (Natrum Muriaticum)

ঠান্ডা বাতাসে নাক দিয়ে জল ঝরা এবং হাঁচি। ঠান্ডার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়।

৮. হেপার সালফার (Hepar Sulphuris Calcareum)

ঠান্ডা বাতাসে তীব্র সংবেদনশীলতা। নাক দিয়ে ঘন সর্দি পড়া, গলা ব্যথা এবং সংক্রমণের ঝুঁকি। পুঁজপূর্ণ ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী সঠিক ওষুধ বেছে নিন।

ওষুধ গ্রহণের পর উপসর্গ কমলে তা বন্ধ করুন।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা বা জটিল ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথের পরামর্শ নিন।

ঠান্ডা এড়াতে সঠিক জীবনযাপন এবং পোশাক ব্যবহার নিশ্চিত করুন।

এই ওষুধগুলো ধীরে ধীরে কোল্ড এলার্জি সমস্যার কার্যকর সমাধান দিতে পারে। (বিশদ জানতে চিকিৎসকের যোগাযোগ — 9933705987)#End

আরো পড়ুন:- ভূমিকম্পে বাঁচতে পারে কোটি কোটি প্রাণ? ISRO মহাকাশে পাঠাচ্ছে সবচেয়ে পাওয়াফুল স্যাটেলাইট

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- কয়েকশ কোটি ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড লাইন, ২৩০ কিমি বেগে ছুটবে ট্রেন

আরো পড়ুন :- আবাস, ১০০ দিনের পর এ বার সর্বশিক্ষা মিশনের টাকাও বন্ধ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের

আরো পড়ুন :- রোজ ঝগড়া হয়? সম্পর্ককে ভালো রাখুন ‘৫ সেকেন্ড রুল’ মেনে

 

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন