Bangla News Dunia , Pallab : কনস্টিপেশন (কোষ্ঠকাঠিন্য) একটি সাধারণ শারীরিক সমস্যা, যা নিয়মিত পায়খানা হতে না পারার কারণে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা হলে এটি দেহের জন্য নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে কনস্টিপেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কনস্টিপেশনের ঘরোয়া চিকিৎসা —–
১. পর্যাপ্ত জল পান —-
প্রতিদিন অন্তত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জল শরীরের বর্জ্য পদার্থ মসৃণভাবে বের করতে সহায়তা করে এবং অন্ত্রে মল নরম রাখতে সাহায্য করে।
২. আঁশযুক্ত খাবার —
আঁশযুক্ত খাবার পেট পরিষ্কার রাখতে খুবই উপকারী। ফল যেমন আপেল, পেয়ারা, পেঁপে, কমলালেবু এবং শাকসবজি যেমন পালং শাক, মুলা, গাজর ইত্যাদি বেশি করে খাওয়া উচিত। এছাড়াও চিটাগুড়, ওটমিল এবং বাদাম খেতে পারেন।
৩. অলিভ অয়েল —
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল খেলে কনস্টিপেশন দূর হতে পারে। এটি অন্ত্রের চলাচল বাড়াতে সাহায্য করে।
৪. লেবুর রস —
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে হজম ভালো হয় এবং কনস্টিপেশনের সমস্যা কমে যায়।
৫. ইসবগুলের ভুসি —
ইসবগুলের ভুসি খুবই কার্যকরী একটি ঘরোয়া ওষুধ। এটি অন্ত্রের মধ্যে পানি শোষণ করে মল নরম করে। ১ গ্লাস পানির সাথে ১-২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে রাতে খাওয়া যেতে পারে।
৬. টক দই —
টক দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম উন্নত করে, যা কনস্টিপেশনের সমস্যা কমাতে সহায়ক। প্রতিদিন খাবারের সাথে টক দই খাওয়া ভালো।
আরো পড়ুন:- রোজভ্যালির টাকা দেওয়া শুরু, আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকল? এভাবে সহজে আবেদন করলেই মিলবে টাকা
৭. ব্যায়াম —
প্রতিদিন নিয়মিত হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম করা উচিত। ব্যায়াম অন্ত্রের গতি বাড়ায়, যা কনস্টিপেশন থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
৮. আদার চা —
আদার চা হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক। গরম পানিতে আদা দিয়ে চা তৈরি করে খেলে অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক হয় এবং মলত্যাগের সমস্যা কমে।
৯. প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ —‘
পাকা পেঁপে, কাঁচা কলা, তেঁতুল এবং সিকনি ফল প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে। এগুলো অন্ত্রের চলাচল বাড়ায় এবং মলকে নরম করেমলকেl
১০. শিথিল মানসিক অবস্থা —
স্ট্রেস এবং টেনশন কনস্টিপেশনকে বাড়িয়ে তোলে। তাই মানসিক চাপ কমাতে মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ফাস্টফুড, অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার এবং প্রসেসড খাবার পরিহার করুন।
আরো পড়ুন:- ‘প্রয়োজনে আরেকটি যুদ্ধ হবে’, দেশবাসীর উদ্দেশে বিবৃতি আওয়ামি লিগের