Bangla News Dunia , S. Datta Roy :- এক সরকারি কর্মী ও তার স্ত্রী দুজনেই করোনা পজিটিভ নিয়ে হসপিটালে ভর্তি হন। ১০ দিনের মাথায় ওই ভদ্রলোকের মৃত্যু হয়। এছাড়াও ৩০ বছর বয়সী সুগারের এক রুগী করোনাতে আক্রান্ত হন। তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হলে মাত্র ৩ দিন বেঁচে ছিলেন তিনি। ৪০ বছর বয়সী একজন কিডনির রুগী তিনিও করোনা আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হয়ে পরের দিনই মারা যান। এরা সবাই করোনা আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর নেপথ্যে তাদের পুরোনো রোগগুলোই মারাত্মক নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। চিকিৎসা পরিভাষায় একেই বলে কো -মরবিডিটি।
আরো পড়ুন :- গোটা বিশ্বের একটাই দাবী কোবিদ-১৯ এর প্রতিষেধকের দাম যেন সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে হয়
কো -মরবিডিটি থাকলে করোনা আক্রান্ত সাধারণ হলেও সেটা জীবনহানির কারণ হতে পারে। করোনার কোনো উপসর্গহীন বাহকের থেকে যদি তার শরীরে সংক্রমণটা দানা বাধে তাহলে ওই বাহককে অসুস্থ না করলেও তার জন্য সেটা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কো -মরবিডিটির সাবধানতা কিভাবে নিতে হবে ?
- সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে।
- আলাদা শৌচাগার ব্যবহার করতে হবে।
- হাত বার বার করে ধুতে হবে।
- বাড়িতেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
- পরিবারের যে ব্যক্তি বাইরে বেরোয় তার থেকে বাড়ির বাকিদের দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
আরো পড়ুন :- করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করবে টিবি -র প্রতিষেধক
কো -মরবিডিটিতে কোন কোন ক্ষেত্রে সতর্কতা নিতে হবে ?
ক্যান্সার ,ফুসফুস ,হার্ট ,লিভার ,কিডনি ,রক্তরোগ ,উচ্চ রক্তচাপ ,স্নায়ুরোগ ,শ্বাসনালী ,মূত্রনালির অসুখ ,সুগার ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ক্ষতি কিভাবে ?
এতে ক্ষতির সম্ভাবনা আরও বেশি। কেননা এই রোগটি কিডনি ,স্নায়ু ও ইমিউনিটিতে প্রভাব ফেলে ,ঝুঁকি আরও ৭ গুন্ বেড়ে যায়। আর যদি এই ডায়াবেটিসের সাথে হার্টের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে ১৪ গুন্ ঝুঁকি বেড়ে যায়।
Highlights
- করোনা আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর নেপথ্যে তাদের পুরোনো রোগগুলোই মারাত্মক নেতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। চিকিৎসা পরিভাষায় একেই বলে কো -মরবিডিটি।
- পরিবারের যে ব্যক্তি বাইরে বেরোয় তার থেকে বাড়ির বাকিদের দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
- ডায়াবেটিসের সাথে হার্টের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে ১৪ গুন্ ঝুঁকি বেড়ে যায়।