Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- যদি আমরা এমন খাবারের কথা বলি, যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য সর্বদা উপকারী বলে বিবেচিত হয় ৷ খেজুর সেই তালিকার একটি ৷ এতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়, যা আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ৷ ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিকের মতে জেনে নিন, খেজুর খাওয়ার উপকারী দিকগুলি ৷
ডায়াটিশিয়ান বলেন, “খেজুর আকারে ছোট হলেও এতে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে । এতে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় ৷ যা আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ।”
আরো পড়ুন:- NIACL সংস্থায় ৫০০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ, মাসিক বেতন ৪০,০০০/- টাকা, এভাবে আবেদন করুন
প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা (Health Benefits Of Dates):
ওজন কমাতে সাহায্য করে: খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যার কারণে পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে । এটি অতিরিক্ত খাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে ৷ যা পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং বদহজমের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় । এছাড়া এটি অন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ।
শক্তি বৃদ্ধি ও ইনস্ট্যান্ট এনার্জি দিতে সাহায্য় করে: খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় । এই ফলটি একটি স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক বিকল্প যা আপনাকে ক্লান্তি এবং অলসতার সঙ্গে লড়াই করতে সহায়তা করে । খেজুর খেয়ে আপনি আপনার দৈনন্দিন কাজগুলি আরও শক্তিতে সম্পন্ন করতে পারেন ।
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: খেজুরে পটাশিয়াম পাওয়া যায় ৷ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । এটি হৃদস্পন্দনকে নিয়মিত রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় । খেজুরে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদরোগের জন্যও উপকারী ।
আরো পড়ুন:- ‘বাবা হিসেবে মানসিক যন্ত্রণা হয়…’, কী এমন হয়েছে বরুণের?
মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে: খেজুরে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় ৷ যা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে । এটি মস্তিষ্কের কোষকে পুষ্টি জোগায় এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে । খেজুরে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে ।
চোখের স্বাস্থ্য: খেজুরে ভিটামিন এ পাওয়া যায় ৷ যা দৃষ্টিশক্তির জন্য অপরিহার্য । এটি রাতকানা রোগের মতো চোখের সমস্যা প্রতিরোধ করে । এছাড়াও খেজুরে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ।
হাড়ের স্বাস্থ্য: খেজুরে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়, যা হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এটি অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে ।
খেজুর খাওয়ার সঠিক উপায় কী ?
ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিক বলেন, “খেজুর খাওয়ার সর্বোত্তম এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হল 8-10 ঘণ্টার জন্য রাতভর জলে ভিজিয়ে রাখা এবং পরের দিন খাওয়া । জলে ভিজিয়ে রাখলে খেজুরে উপস্থিত ট্যানিন এবং ফাইটিক অ্যাসিড দূর হয়, ৷যার কারণে এতে উপস্থিত পুষ্টি সহজেই শোষিত হয় ৷
খেজুর খেলে কী ক্ষতি হতে পারে ?
ডায়াটিশিয়ান জানান, যদিও খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ৷ তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে । খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্কতার সঙ্গে এটি খাওয়া উচিত । এছাড়াও, প্রচুর পরিমাণে খেজুর খেলে ওজন কমার পরিবর্তে ওজন বাড়তে পারে ।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)
আরো পড়ুন:- এবারে 5 টাকার কয়েন বাতিল করবে RBI? সময় থাকতে সতর্ক হয়ে যান