গেঁটেবাত বা রিউমাটিজমের সমস্যার চিকিৎসায় সেরা ‘বায়োকেমিক’ !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

homeopathy

Bangla News Dunia , Pallab : গেঁটেবাত একটি জটিল প্রদাহজনিত রোগ যা সাধারণত জয়েন্ট বা সন্ধিস্থলে তীব্র ব্যথা, ফোলা, লালভাব এবং চলাচলের অসুবিধার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এটি মূলত শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমে স্ফটিকের আকার ধারণ করার ফলে হয়। রিউমাটিজম বা গেঁটেবাত সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায় তবে জীবনযাত্রার প্রভাবেও এটি যেকোনো বয়সে হতে পারে।

ডা. শুসলার প্রবর্তিত বায়োকেমিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বিশ্বাস করা হয়, দেহের কোষগুলির মধ্যে মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে অধিকাংশ শারীরিক সমস্যা নিরাময় সম্ভব। বায়োকম্পিনেশন ১৯ গেঁটেবাত এবং রিউমাটিজমের চিকিৎসায় একটি কার্যকর ফর্মুলা হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের ভেতরে জমে থাকা টক্সিন বের করতে, প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন:- ব্রেন তীক্ষ্ণ রাখতে চান? এই ব্যায়ামগুলিতে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে- বুদ্ধি বাড়বে মস্তিষ্কের

গেঁটেবাতের লক্ষণ সমূহ:

১. জয়েন্টে তীব্র ব্যথা (বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙুলে)।
২. সন্ধিস্থলে ফোলা ও লালভাব।
৩. চলাচলে বাধা বা সীমাবদ্ধতা।
৪. দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে জয়েন্ট বিকৃতি।
৫. সঞ্চালনজনিত সমস্যা ও সন্ধিস্থলের শক্ত হয়ে যাওয়া।

বায়োকম্পিনেশন ১৯ এর উপাদানসমূহ ও তাদের ভূমিকা:

কার্যকারিতা এবং ভূমিকা নিম্নরূপ:

১. Ferrum Phosphoricum (F.P. 6x):

প্রদাহজনিত অবস্থার প্রাথমিক ধাপে কাজ করে।

জয়েন্টে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে ব্যথা এবং ফোলাভাব কমায়।

ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলির পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।

২. Magnesia Phosphorica (M.P. 3x):

স্নায়ু এবং পেশীর ব্যথা হ্রাসে কার্যকর।

মাংসপেশির সংকোচন বা স্পাজম কমিয়ে জয়েন্টের গতিশীলতা উন্নত করে।

দীর্ঘস্থায়ী ব্যথার উপশমে সাহায্য করে।

৩. Kalium Sulphuricum (K.S. 3x):

প্রদাহের দ্বিতীয় ধাপে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

দেহের কোষ থেকে টক্সিন নির্গত করে প্রদাহ কমায়।

কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি করে সুস্থতার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।

৪. Natrum Sulphuricum (N.S. 3x):

শরীরের অতিরিক্ত তরল এবং বিষাক্ত পদার্থ নির্গত করতে সাহায্য করে।

লিভার এবং কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

জয়েন্টের ফোলাভাব ও ব্যথা দ্রুত উপশম করে।

বায়োকম্পিনেশন ১৯ এর কার্যকারিতা:

১. শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।
২. জয়েন্টের প্রদাহ, ফোলা এবং ব্যথা দ্রুত হ্রাস করে।
৩. কোষে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুর পুনর্গঠন নিশ্চিত করে।
৪. শরীরের তরল ব্যালান্স রক্ষা করে এবং লিভার ও কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
৫. জয়েন্টের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করে এবং চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে।

ডোজ ও ব্যবহারবিধি:

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য:
প্রতিদিন ৪টি বড়ি, দিনে ৩-৪ বার খাবার পর বা চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে।

শিশুদের জন্য:

বড়দের ডোজের অর্ধেক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

প্রয়োগের সময়কাল:

প্রাথমিক পর্যায়ে ১-২ মাস নিয়মিত ব্যবহার করুন।

দীর্ঘস্থায়ী ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ চালিয়ে যেতে হবে। #End

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন