চুলকানি আসলে কি ? জানুন মুক্তির সহজ হোমিওপ্যাথি প্রতিকার

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Updated on:

Homeopathy

Bangla News Dunia , Pallab : চুলকানি একটি পরিচিত ত্বকের সমস্যা, যা শরীরের বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুসকুড়ি আকারে প্রকাশ পায়। এই সমস্যায় আক্রান্ত স্থানে অতিরিক্ত চুলকানি অনুভূত হয় এবং তা প্রায়শই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। চুলকানোর ফলে ত্বকের ওই অংশে জ্বালাপোড়া অনুভূত হতে পারে এবং কখনও কখনও এটি গুরুতর আকার ধারণ করে।

লক্ষণ —–

1. ক্ষুদ্র ফুসকুড়ি: চুলকানি আক্রান্ত স্থানে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।

2. চুলকানি: অত্যন্ত চুলকানোর অনুভূতি হয়, যা রাতে আরও বাড়তে পারে।

3. জ্বালাপোড়া: চুলকানোর পর আক্রান্ত স্থানে জ্বালার অনুভূতি হয়।

4. ফুসকুড়ির পরিবর্তন: চুলকাতে চুলকাতে ফুসকুড়িগুলো ছিঁড়ে গিয়ে সেখান থেকে রস অথবা পুঁজ নির্গত হতে পারে। এটি পরবর্তীতে ঘা বা পাঁচড়ার রূপ নিতে পারে।

5. জীবাণু সংক্রমণ: এটি এক প্রকার জীবাণু সংক্রমণ যা ত্বকের গভীরে ক্ষতি করতে পারে।

চুলকানি দূর করতে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

1. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: আক্রান্ত স্থানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।

2. ঔষধ: ওষুধ ব্যবহারে আরাম পাওয়া যায়।

3. প্রাকৃতিক প্রতিকার: নিমপাতার রস বা অ্যালোভেরা ব্যবহার করলেও উপশম হতে পারে।

4. ডাক্তারের পরামর্শ: দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

চুলকানি তেমন কোনো বড় রোগ না হলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না নিলে তা বড় আকার ধারণ করতে পারে। সুতরাং, এর প্রাথমিক পর্যায়েই এটি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন :- দিল্লির ‘খান চকে’র নাম বদলে দিল মোদী সরকার ! জানুন কি হল নতুন নাম ?

চুলকানি (Itching): হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

চুলকানি সাধারণত শরীরের ত্বকে বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে এবং এটি অত্যন্ত অস্বস্তিকর অনুভূতি সৃষ্টি করে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রোগীর উপসর্গ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। সঠিক লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ:-

১. সালফার ২০০ (Sulphur 200)

যখন ব্যবহার করবেন:

রোগী বারবার চুলকাতে বাধ্য হয়।

মলদ্বার, যোনিপথ, স্তনবৃন্ত, ওষ্ঠ এবং শরীরের দ্বারে জ্বালাপোড়া।

ত্বকে ফুসকুড়ি থাকলেও আরোগ্য লাভ হচ্ছে না।

শরীরের দ্বারগুলো রক্তিম বর্ণ ধারণ করে।

রাতে চুলকানি এবং ত্বকের সমস্যাগুলো বৃদ্ধি পায়।

বিশেষ লক্ষণ:

ত্বকে ফুসকুড়ির পুঁজ হওয়ার পূর্বে শীত অনুভূত হয়।

ফুসকুড়ি বেশি হলে এই ঔষধ কার্যকর।

২. মার্কসল ৬ (Mercurius Solubilis 6)

যখন ব্যবহার করবেন:

চুলকানি প্রবল কিন্তু ত্বকে কোনো ফুসকুড়ি বা ফোলাভাব নেই।

স্কন্ধ, কনুই, উরু এবং চুলযুক্ত স্থানে চুলকানি।

রাত্রে চুলকানি আরও তীব্র হয়।

ত্বকে হরিদ্রাবর্ণ দাগ সৃষ্টি হয়।

জিহ্বা লাল বর্ণ ধারণ করে এবং ফেটে যায়।

মাথা ভারী লাগে এবং কপালের শিরঃপীড়া অনুভূত হয়।

বিশেষ লক্ষণ:

গরম জলে চুলকানি উপশম হয়।

আক্রান্ত স্থানে চর্মের গ্রন্থিস্থানে চুলকানি।

৩. ডলিকস ৬ (Dolichos 6)

যখন ব্যবহার করবেন:

রোগী চুলকানিতে অতিরিক্ত অস্থির থাকে।

রাত্রিকালে চুলকানি বেড়ে যায়।

স্কন্ধ, কনুই, এবং অন্যান্য স্থানে ক্ষুদ্র দাগ তৈরি হয়।

৪. রাস ভেন ৬ (Rhus venenata 6)

যখন ব্যবহার করবেন:

তীব্র চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং জ্বালা অনুভূত হয়।

রাত্রে চুলকানি বৃদ্ধি পায়।

গরমে এবং ঘামে চুলকানি কিছুটা কমে যায়।

আক্রান্ত স্থানে ফোলা দেখা যায়। ( বিশদে পরামর্শ নিতে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ — 9932705987)#End

আরো পড়ুন:- ভূমিকম্পে বাঁচতে পারে কোটি কোটি প্রাণ? ISRO মহাকাশে পাঠাচ্ছে সবচেয়ে পাওয়াফুল স্যাটেলাইট

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- কয়েকশ কোটি ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে ভারতের প্রথম ডেডিকেটেড লাইন, ২৩০ কিমি বেগে ছুটবে ট্রেন

আরো পড়ুন :- আবাস, ১০০ দিনের পর এ বার সর্বশিক্ষা মিশনের টাকাও বন্ধ, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্যের

আরো পড়ুন :- রোজ ঝগড়া হয়? সম্পর্ককে ভালো রাখুন ‘৫ সেকেন্ড রুল’ মেনে

 

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন