জরুরি_হোমিওপ্যাথিক_ঔষধ_সমূহ ! ঘরে রাখলে বিপদমুক্ত

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Homeopathy

Bangla News Dunia , Pallab : জরুরি_হোমিওপ্যাথিক_ঔষধ_সমূহ —–

জরুরি দশ-পনেরটি হোমিও ঔষধের নাম (সাথে প্রধান প্রধান লক্ষণ সহ) দেওয়া হলো যেগুলো কিনে এনে সব সময় ঘরে জমা করে রাখা উচিত। তাহলে প্রয়োজনের সময় রাত-বিরাতে আর ঔষধ কেনার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হবে না।

(১) Aconitum napellus :- যে-কোন রোগই হউক না কেন (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক ধড়ফড়ানি প্রভৃতি), যদি হঠাৎ শুরু হয় এবং শুরু থেকেই মারাত্মকরূপে দেখা দেয় অথবা দুয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেটি মারাত্মক আকার ধারণ করে, তবে একোনাইট ঔষধটি হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান-টর্নেডোর সাথে…..প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। একোনাইটের রোগী রোগের যন্ত্রণায় একেবারে অস্থির হয়ে পড়ে। রোগের উৎপাত এত বেশী হয় যে, তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। রোগী ভাবে সে এখনই মরে যাবে।

(২) Bryonia alba : ব্রায়োনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে, প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে, নড়াচড়া করলে রোগীর কষ্ট বৃদ্ধি পায়, রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে, কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়, প্রলাপ বকার সময় তারা সারাদিনের পেশাগত কাজের কথা বলতে থাকে অথবা বিছানা থেকে নেমে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে, শিশুদের কোলে নিলে তারা বিরক্ত হয়, মুখে সবকিছু তিতা লাগে। যে-কোন রোগই হউক না কেন, যদি উপরের লক্ষণগুলোর অন্তত দু-তিনটি লক্ষণও রোগীর মধ্যে পাওয়া যায়, তবে ব্রায়োনিয়া সেই রোগ সারিয়ে দিবে। ব্রায়োনিয়া ঔষধটি নিউমোনিয়ার জন্য আল্লাহ্‌র একটি বিরাট রহমত স্বরূপ। সাধারণত নিম্নশক্তিতে খাওয়ালে ঘনঘন খাওয়াতে হয় কয়েকদিন কিন্তু (১০,০০০ বা ৫০,০০০ ইত্যাদি) উচ্চশক্তিতে খাওয়ালে দুয়েক ডোজই যথেষ্ট।

(৩) Rhus toxicodendron : রাস টক্সের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচণ্ড অস্থিরতা, রোগী এতই অস্থিরতায় ভোগে যে এক পজিশনে বেশীক্ষণ স্থির থাকতে পারে না, রোগীর শীতভাব এমন বেশী যে তার মনে হয় কেউ যেন বালতি দিয়ে তার গায়ে ঠান্ডা পানি ঢালতেছে, নড়াচড়া করলে (অথবা শরীর টিপে দিলে) তার ভালো লাগে অর্থাৎ রোগের কষ্ট কমে যায়, স্বপ্ন দেখে যেন খুব পরিশ্রমের কাজ করতেছে। বর্ষাকাল, ভ্যাপসা আবহাওয়া বা ভিজা বাতাসের সময়কার যে-কোন জ্বরে (বা অন্যান্য রোগে) রাস টক্স এক নাম্বার ঔষধ। রাস টক্স খাওয়ার সময় ঠান্ডা পানিতে গোসল বা ঠান্ডা পানিতে গামছা ভিজিয়ে শরীর মোছা যাবে না। বরং এজন্য কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কেননা ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে রাস টক্সের একশান নষ্ট হয়ে যায়। (* ব্রায়োনিয়া এবং রাস টক্সের প্রধান দুটি লক্ষণ মনে রাখলেই চলবে ; আর তা হলো – নড়াচড়া করলে ব্রায়োনিয়ার রোগ বেড়ে যায় এবং রাস টক্সের রোগ হ্রাস পায় / কমে যায়।)

(৪) Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, এদের স্বাস্থ্য খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেঁদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও কোন রোগীর মধ্যে থাকলে লাইকোপোডিয়াম তার যে-কোন রোগ (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-নিউমোনিয়া-পেটব্যথা-হাঁপানি-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু-বুক ধড়ফড়ানি-চুলপড়া-ধ্বজভঙ্গ প্রভৃতি) সারিয়ে দেবে।

আরো পড়ুন :- বন্দে ভারত ট্রেন বিশেষ ভাবে তৈরি করা হচ্ছে এই রাজ্যে চালানোর জন্য

(৫) Belladonna : তিনটি লক্ষণের উপর ভিত্তি করে বেলেডোনা ঔষধটি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, যথা- উত্তাপ, লাল রঙ এবং জ্বালা-পোড়া ভাব। যদি শরীরে বা আক্রান্ত স্থানে উত্তাপ বেশী থাকে, যদি আক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যায় (যেমন- মাথা ব্যথার সময় মুখ লাল হওয়া, পায়খানার সাথে টকটকে লাল রক্ত যাওয়া), শরীরে জ্বালা-পোড়াভাব থাকে, রোগী ভয়ঙ্কর সব জিনিস দেখে, ভয়ে পালাতে চেষ্টা করে, অনেক সময় মারমুখী হয়ে উঠে ইত্যাদি ইত্যাদি। জ্বরের সাথে যদি রোগী প্রলাপ বকতে থাকে, তবে বেলেডোনা তাকে উদ্ধার করবে নিশ্চিত। উপরের লক্ষণগুলো কোন রোগীর মধ্যে পাওয়া গেলে যে-কোন রোগে (জ্বর-কাশি-ডায়েরিয়া-আমাশয়-রক্তআমাশয়-পেটব্যথা-মাথাব্যথা-বুকেব্যথা-শ্বাসকষ্ট-বার্ড ফ্লু- বুক ধড়ফড়ানি প্রভৃতি) বেলেডোনা প্রয়োগ করতে পারেন।

(৬) Arsenicum album : আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে প্রচণ্ড অস্থিরতা (অর্থাৎ রোগী এক জায়গায় বা এক পজিশনে বেশীক্ষণ থাকতে পারে না। এমনকি গভীর ঘুমের মধ্যেও সে নড়াচড়া করতে থাকে।), শরীরের বিভিন্ন স্থানে ভীষণ জ্বালা-পোড়া ভাব, অল্প সময়ের মধ্যেই রোগী দুর্বল-কাহিল-নিস্তেজ হয়ে পড়ে, রোগীর বাইরে থাকে ঠান্ডা কিন্তু ভেতরে থাকে জ্বালা-পোড়া, অতিমাত্রায় মৃতুভয়, রোগী মনে করে ঔষধ খেয়ে কোন লাভ নেই- তার মৃত্যু নিশ্চিত, গরম পানি খাওয়ার জন্য পাগল কিন্তু খাওয়ার সময় খাবে দুয়েক চুমুক। বাসি-পচাঁ-বিষাক্ত খাবার খেয়ে যত মারাত্মক রোগই হউক না কেন, আর্সেনিক খেতে দেরি করবেন না। ফল-ফ্রুট খেয়ে (ডায়েরিয়া, আমাশয়, পেট ব্যথা ইত্যাদি) যে-কোন রোগ হলে আর্সেনিক হলো তার এক নম্বর ঔষধ।

(৭) Arnica montana : যে-কোন ধরনের আঘাত, থেতলানো, মচকানো, মোচড়ানো, ঘুষি, লাঠির আঘাত বা উপর থেকে পড়ার কারণে ব্যথা পেলে আর্নিকা খেতে হবে। শরীরের কোন একটি অঙ্গের বেশী ব্যবহারের ফলে যদি তাতে ব্যথা শুরু হয়, তবে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। আক্রান্ত স্থানে এমন তীব্র ব্যথা থাকে যে, কাউকে তার দিকে আসতে দেখলেই সে ভয় পেয়ে যায় (কারণ ধাক্কা লাগলে ব্যথার চোটে তার প্রাণ বেরিয়ে যাবে)। রোগী ভীষণ অসুস্থ হয়েও মনে করে তার কোন অসুখ নেই, সে ভালো আছে। উপরের লক্ষণগুলোর কোনটি থাকলে যে-কোন রোগে আর্নিকা প্রয়োগ করতে পারেন।

(৮) Mercurius solubilis : মার্ক সল ঔষধটির প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো প্রচুর ঘাম হয় কিন্তু রোগী আরাম পায় না, ঘামে দুর্গন্ধ বা মিষ্টি গন্ধ থাকে, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না, ঘুমের মধ্যে মুখ থেকে লালা ঝরে, পায়খানা করার সময় কোথানি, পায়খানা করেও মনে হয় আরো রয়ে গেছে, অধিকাংশ রোগ রাতের বেলা বেড়ে যায়। রোগী ঠান্ডা পানির জন্য পাগল। ঘামের কারণে যাদের কাপড়ে হলুদ দাগ পড়ে যায়, তাদের যে-কোন রোগে মার্ক সল উপকারী। এটি আমাশয়ের এক নম্বর ঔষধ। উপরের লক্ষণগুলো থাকলে যে-কোন রোগে মার্ক সল প্রয়োগ করতে পারেন।

(৯) Gelsemium sempervirens : জেলসিমিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর মধ্যে ঘুমঘুম ভাব থাকে বেশী, রোগী অচেতন-অজ্ঞান-বেহুশের মতো পড়ে থাকে, দেখা যাবে গায়ে প্রচণ্ড জ্বর অথচ রোগী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে, মাথা ঘুড়ানি থাকে, শরীর ভারভার লাগে, মাত্রাতিরিক্ত দুর্বলতার কারণে রোগী নড়াচড়া করতে পারে না এবং একটু নড়াচড়া করতে গেলে শরীর কাঁপতে থাকে, ওপর থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং হৃৎপিন্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়, সাহসহীনতা, শরীরের জোর বা মনের জোর কম হওয়া, ইত্যাদি লক্ষণ আছে। (চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ — 9932705987)#End

এই রকম খবর পেতে দয়া করে আমাদের চ্যানেল ফলো করুন

আরো পড়ুন :- SBI থেকে LPG, OTP! ১ ডিসেম্বর থেকে বদলে যাচ্ছে ৪ নিয়ম

আরো পড়ুন :- রাহানে, আইয়ার বা রিঙ্কু সিং! নিজেকে KKR-র অধিনায়ক ঘোষণা করলেন ‘তারকা’

আরো পড়ুন :- বীরভূমের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তিনিই, কালীঘাটের বৈঠকের পরেই ঘোষণা অনুব্রতর

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন