Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : বর্ষায় বাড়ে যে কোনও সংক্রামক ব্যাধিও। ঘরে ঘরে এখন ভাইরাল ফিভার। নয়া জ্বরে কাবু গোটা রাজ্য। অদ্ভুত জ্বরকে ঘিরে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। ৭-১০ দিনের আগে কাটছে না ইনফেকশন। থাকছে প্রবল কাশি। নাক বন্ধ, সর্দি। নাক দিয়ে জল পড়ছে। ঘুমও হচ্ছে না ঠিকমতো। প্রচুর মানুষ এখন ভুগছেন এই জ্বরে। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশু, কিশোররাও আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। এমনকী প্যারাসিটামলের ২ টো ডোজের পরও নামছে না জ্বর।
যদিও চিকিৎসকেরা বলছে মরশুমের ভাইরাল ফিভার। প্রতি বছরই বর্ষায় সংক্রমণের জেরে বাড়ে এই জ্বর। বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া এবং প্যারাসিটামলেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। কোভিড, ডেঙ্গি ভেবে অনেকেই তা ভুল করছেন। হাই ফিভার থাকলেও তা কিন্তু ডেঙ্গি নয়। তবে এই জ্বরে অধিকাংশ মানুষই খেতে পারছেন না। খিদে নেই, রুচি নেই। মুখে তেতো ভাব।
তবে জ্বরের সময় মুখে তেতো ভাব খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এই সময় কাশি বেশি থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। বেশি ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধ খাওয়ার কারণেই আমাদের স্বাদ হারিয়ে যায়। এক্ষেত্রে রোজ একটা করে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। যেমন মুখের তিতকুটে ভাব কাটবে সেই সঙ্গে ফিরবে স্বাদও। খিদেও ভাবে এবং হজম ঠিকমতো হবে।
জ্বরে মুখের স্বাদ হারিয়ে গেলে আচার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। একেবারে কম মশলাযুক্ত খাবার, কম তেল দেওয়া খাবার এবং খাবারে নুনের পরিমাণ কম রাখতে বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে মিষ্টি খাবার খান। জিভে স্বাদের ভারসাম্য বজায় রাখতে চেষ্টা করুন। রোজ ফল, স্যুপ খেতে বলছেন চিকিৎকরা। বারেবারে আদা, মধু আর গোলমরিচ দিয়ে চা খেতে পারেন। প্রাকৃতিক মিষ্টি দেওয়া খাবার খেতে পারেন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল