ফুড অ্যাপে অর্ডার করা খাবার ডেলিভারি হয় কালো প্লাস্টিকের কনটেইনারে, এতেই লুকিয়ে ক্যান্সার ?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- অনলাইনে অর্ডার করা বেশিরভাগ খাবারই আসে সাদা অথবা কালো রঙের প্লাস্টিকের এয়ারটাইট কনটেইনারে। আর সেই কনটেইনার জমিয়ে রাখার অভ্যাস মধ্যবিত্ত পরিবারে একরকম মহামারির মতো ছড়িয়েছে। এই বাক্সগুলি পুনরায় এবং বারবার ব্যবহার করা যায়। খাবার রাখার কাজে তো বটেই, মাইক্রওভেনে খাবার গরম করার ক্ষেত্রেও এগুলি বেশ সুবিধাজনক বলে অনেকে মনে করেন। অথচ এই কনটেইনারগুলি বারবার ব্যবহার করা আদৌ কতটা নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে বিতর্ক ছড়িয়েছে অনলাইনে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এগুলি পুনর্ব্যবহার না করার পরামর্শ দিচ্ছেন।

কনটেইনারের কালো প্লাস্টিক আসলে কী?

কনটেইনারের কালো প্লাস্টিক হল এক ধরনের প্লাস্টিক থেকে খাবারের ট্রে, পাত্র এবং বাসনের মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস তৈরি হয়। এগুলি তৈরি করা হয় পুরোনো ইলেকট্রনিক্স সহ একাধিক পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ দিয়ে। বিশেষ রাসায়নিক থাকার কারণে মাইক্রোওভেনে এই বাটি ব্যবহার করা যায়। এই রাসায়নিকের মধ্যে অন্যতম decaBDE। ক্ষতিকারণ এই রাসায়নিক প্লাস্টিকের মধ্যেই শুধু আটকে থাকে না। বরং গরম করার সঙ্গে সঙ্গে তা খাবারে মিশে যায়। বিশেষ করে সেই খাবার যদি তৈলাক্ত অথবা অ্যাসিডিক হয়। এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে এই রাসায়নিক অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

কালো প্লাস্টিক থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি

কেমোস্ফিয়ারের বৈজ্ঞানিক জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে কালো প্লাস্টিকের ক্ষতিকারণ দিকের উল্লেখ করা হয়েছে। কালো প্লাস্টিকের বাটিতে রাখা ২০৩টি ভোগ্যপণ্যের বিশ্লেষণ করে সেগুলিতে ৮৫ শতাংশ বিষাক্ত শিখা-প্রতিরোধী রাসায়নিক পাওয়া গেছে। তাই এই ধরনের বাক্স যতটা সম্ভব কম ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষতিকারণ রাসায়নিক থেকে ক্যানসারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

একাধিক ব্যবহারের ফলে কনটেইনার থেকে decaBDE এবং অনুরূপ যৌগগুলি যেমন কার্সিনোজেন এবং এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টার নির্গত হয়ে হরমোন সিস্টেমে হস্তক্ষেপ করতে পারে। এবং সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলেও, এখান থেকে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকেই যায়।

এ ছাড়াও কালো প্লাস্টিকে উপস্থিত বিসফেনল এ (বিপিএ) এবং থ্যালেটসের মতো পদার্থের কারণে কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডায়াবেটিস এবং প্রজননজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুন:– নতুন বছরে সুখবর! সবার অ্যাকাউন্টে প্রতিমাসে ঢুকবে 9000 টাকা পেনশন।

কালো প্লাস্টিকের অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া-

এন্ডোক্রাইনে ব্যাঘাত

গবেষণায় দেখা গেছে, কালো প্লাস্টিকের রাসায়নিক পদার্থ, যেমন BPA এবং phthalates, এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে ব্যাহত করে। যার ফলে সম্ভাব্য প্রজনন সমস্যা, ওবেসিটি ও ডায়াবিটিস হতে পারে।

স্নায়ুবিক সমস্যা

গবেষণা ইঙ্গিত করে যে, কালো প্লাস্টিকের কিছু সংযোজনের এক্সপোজারের ফলে বিভিন্ন স্নায়বিক ব্যাধি সহ শিশুদের বিকাশে বিলম্ব এবং আইকিউ হ্রাসের প্রবণতা থাকতে পারে।

পরিবেশগত প্রভাব

কালো প্লাস্টিকের বাক্স পরিবেশের পক্ষেও ক্ষতিকারক। পুনর্ব্যবহার করা কঠিন বলে প্রায়ই এগুলি পুড়িয়ে ফেলা হয়। ফলে ভূমি এবং বায়ু দূষণ হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসবায়ুর সঙ্গে তা মানুষের দেহে প্রবেশ করে। যার ফল হতে পারে মারাত্মক।

মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ

কালো প্লাস্টিকে মাইক্রোপ্লাস্টিক খাবার, জল এবং বাতাসে প্রবেশ করে, মানবদেহে প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং কোষের ক্ষতি করে। এগুলির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং উদ্বেগজনক।

আরও পড়ুন:– ছয় থেকে বারো মাস বয়সি শিশুকে কীভাবে খাওয়াবেন ? টিপস দিলেন ডায়েটিশিয়ান

আরও পড়ুন:– 15 হাজারে আধার কার্ড, 5 হাজারে প্যান ! বাংলাদেশিদের নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে শ্রীঘরে ল’ক্লার্ক

 

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন