Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শীতকালে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ়ড রাখা যেন চ্যালেঞ্জ। ক্রিম বা বডি লোশন মাখলে গায়ের খসখসে ভাব দূর হয়। কিন্তু হাত-পা ধুলেই সেই ক্রিম ধুয়ে চলে যায়। তার পর আবার চামড়ায় টান ধরতে থাকে। পা-হাত খসখসে হয়ে যায়। এই সমস্যার সমাধান হতে পারে বডি অয়েল। আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা স্নানের আগে গায়ে তেল মাখতেন। এখন গায়ে তেল মাখার চল প্রায় উঠে গিয়েছে। কিন্তু তেলেই লুকিয়ে শুষ্ক ত্বকের সমাধান। এমন ৪টি তেল রয়েছে, যা গায়ে মাখলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়।
আরো পড়ুন:- চাপে পড়ে নতিস্বীকার, সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ইউনূসের, জানতে পড়ুন বিস্তারিত
আরো পড়ুন:- ব্রেন তীক্ষ্ণ রাখতে চান? এই ব্যায়ামগুলিতে স্মৃতিশক্তি প্রখর থাকবে- বুদ্ধি বাড়বে মস্তিষ্কের
জোজোবা অয়েল: এই উদ্ভিজ্জ তেলে ভিটামিন ই এবং বি কমপ্লেক্স রয়েছে। এটি ত্বকের ভিতরে গিয়ে পুষ্টি জোগায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। পাশাপাশি ত্বকে যে প্রাকৃতিক উৎপাদন হয়, তারও ভারসাম্য বজায় রাখে। ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে জোজোবা অয়েল। স্নানের আগে বা পরে জোজোবা অয়েল মাখতে পারেন। আবার ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গেও জোজোবা অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন।
অরগ্যান অয়েল: ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই রয়েছে অরগ্যান অয়েলে। এই তেল ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি ত্বকের উপর একটি সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। এই তেল ত্বককে শুকিয়ে যেতে দেয় না। এমনকী ত্বকের অকাল বার্ধক্যকেও প্রতিরোধ করে। কয়েক ফোঁটা তেল নিয়ে ত্বকে উপর ভালো করে মালিশ করুন। এতেই শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
আমন্ড অয়েল: আমন্ড অয়েলের মধ্যে ভিটামিন এ, ই এবং ডি রয়েছে। এই সব উপাদান ত্বকের সমস্যা দূর করতে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আমন্ড অয়েল মালিশ করলে ত্বকের জেল্লাও বাড়ে এবং বলিরেখা আপনাকে ছুঁতে পারে না। ত্বক তেল সম্পূর্ণরূপে শুষে নেওয়া পর্যন্ত আমন্ড অয়েল মালিশ করবেন।
নারকেল তেল: ত্বকের যত্নে নারকেল তেলের কোনও বিকল্প নেই। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া নারকেল তেলে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের ক্ষতও পুনরুদ্ধার করে। নিয়মিত নারকেল তেল মাখলে ত্বক নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে।