Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : Omicron-র রোগ-লক্ষণে তীব্রতা নেই কিন্তু তা অত্যন্ত সংক্রামক। সুনামির আকারে আছড়ে পড়েছে ওমিক্রন। প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মূলত প্রভাব ফেলে আমাদের শ্বাসযন্ত্রে। এবার সরাসরি ফুসফুসের উপর পড়ছে না বা ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে না। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা গিয়েছে এমনটাও নয়। বেশিরভাগ আক্রান্তের ক্ষেত্রেই গলাতে সমস্যা হয়েছে। গলা ব্যথা, গলা খুশখুশ, কাশি, হাঁচি ছিল প্রধান উপসর্গ। বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়েনি।
ওমিক্রন ও সাধারণ ফ্লু-র মধ্যে কোনও ফারাক না থাকায় বুঝতে পারছেন না আদৌ কিসে আক্রান্ত। সাধারণ সর্দির সমস্যা বলে বেশির ভাগ পরীক্ষা এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বোঝার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ হল RT-PCR পরীক্ষা। বেশিরভাগ সেই পরীক্ষা বাদ দিয়ে Rapid Antigen পরীক্ষা করাচ্ছেন। পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে অনেকক্ষেত্রেই। আপনি যদি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকেন ও পরীক্ষা এড়িয়ে যান তাহলে সহজে ধরা পড়বে কয়েকটি লক্ষণে।
গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, মাথাব্যথা, ক্লান্তি এবং শরীরের ব্যথা হতে পারে ওমিক্রম সংক্রমণের লক্ষণ। ওমিক্রনের সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সর্দি কাশির সমস্যা হয় ও সেখান থেকে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে কিন্তু সাবধান। ওমিক্রনে পেটের সমস্যাও হচ্ছে যেমন বমি বমি ভাব, খেতে ইচ্ছে না করা, ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাও ছিল। কোভিড থেকে ভুগে ওঠার পর চুলে পড়ে যাওয়ার ,সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। অনেকের ক্ষেত্রে প্রভাব কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক চাপ, ওষুধ ও করোনার সঙ্গে লড়াই এর জন্য কিন্তু দায়ী।
এছাড়াও পায়ের ত্বক শুকনো হয়ে যাওয়া, পায়ে ফুসকুড়ির মতো সমস্যা, পায়ের আঙুলে সমস্যা এসব কিন্তু কোভিডের জন্যই দায়ী। মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা এবং ভিড় এড়িয়ে চলা কিন্তু আবশ্যক।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল