Bangla news dunia , জয় রায় :- আমরা সাধারণত বর্ষা কালে আলাদা কোনো নিয়ম মেনে চলিনা বা নিজেদের শরীরের প্রতি কোনো এক্সট্রা কেয়ার করিনা। তবে এর জন্যই আমাদের বিভিন্ন পেটের অসুখের সমস্যায় ভুগতে হয়। এর জন্য সবার আগে আমাদের কিছু নিয়ম ও আদব কায়দা জেনে নেওয়া দরকার। সাধারণত কয়েকটি সাবধানতা মেনে চললেই এড়িয়ে চলা যায় বর্ষা কালের নানান অসুখ বিসুখ। সব বয়সের লোকদের সুস্থ থাকার জন্য এটা অত্যান্ত জরুরি।
যাদের মাথায় বেশি ঘন চুল বিশেষ করে মহিলারা তারা এই সময়ে চুলের প্রতি একটু বেশি যত্নবান হবেন। কারণ বর্ষায় ভিজে স্যাতস্যাতে আবহাওয়ায় চুল গোড়া থেকে আলগা হয়ে উঠে যাবার সম্বাভনা থাকে। তাছাড়া পুরাতন মাথার যন্ত্রনার প্রকোপও অনেক সময় বৃদ্ধি পায়। তাই চুলের গোড়া ভালোভাবে না শুকিয়ে শোয়া উচিত নয়। খুব প্রয়োজনে মাঝে মধ্যে ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
বর্ষায় বাতাসে জলীয় বাস্প বেশি পরিমানে থাকে। তাই জামা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকোতে চায় না। সেই জন্য অনেকে শোবার ঘরে ভিজে জামা কাপড় , পাখার তলায় রাখেন। এটা বিশেষ করে শিশুদের পক্ষে মারাত্মক। কারণ এতে ঠান্ডা লেগে নানা প্রকার বিপত্তি ঘটার আশঙ্কা থাকে।
প্রচন্ড বৃষ্টির হাত থেকে শরীরকে সম্পূর্ণ ভাবে বাঁচাতে নামি কোম্পানির রেনকোট ব্যবহার করুন। তবে সামান্য বৃষ্টিতে ছাতা ব্যাবহার করাই ঠিক। কারণ রেন কোটের আবদ্ধতা দেহের উত্তাপকে বাইরে যেতে না দেওয়ায় গুমোট পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যার ফলে আমাদের অনেক সময় ঘামাচির ন্যায় এলাৰ্জি তৈরি করে। বৃষ্টিতে ভেজা থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। তা না হলে জ্বর , সর্দি কাশি , মাথা যন্ত্রনা ইত্যাদি নানা রকম ব্যাধির সৃষ্টি হতে পারে।
বর্ষা কালে কাঁচা শাক সবজি ভালো করে না ধুয়ে খাওয়া উচিত না। প্রয়োজনে শাক সবজি ধুতে গরম জল ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে নানা রুম পেটের ব্যাধির সৃষ্টি হতে পারে।প্রসঙ্গত উল্লখ্যে যে খাবারের বাসন পত্র বিশ্বাসতো শিশুদের বাস ভালো করে গরম জলে ধুয়ে নিতে হবে।
দেহের বধ জায়গায় বিশেষ করে সন্ধি স্থলে বর্ষায় ব্যাকটেরিয়া এবং কখনো বা নানা প্রকার ফাঙ্গাল সংক্রমণ হতে পারে। এই জন্য নিত্য গোলস করা প্রয়োজন। সাথে সপ্তাহে কয়েকবার জীবাণু মুক্ত সাবান ব্যবহার করা যেতে পারে।
লক্ষ রাখতে হবে বর্ষায় জল যেন বেশিদিন কোনো জাগায় জমতে না পারে। কারণ এই বোধ জলাশয় হলো মশার আঁতুরঘর। আর এই মশার আক্রমণে মালেরিয়ার মতো মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
গ্রামের রাস্থায় হাঁটার সময় অবশই চটি ব্যবহার করতে হবে। কারণ ফাঁকা জায়গায় ত্যাগ করা মল বৃষ্টির জলে ধুয়ে গেলেও হুক কৃমির লাভা নগ্ন পায়ের চামড়া ভেদ করে দেহে প্রবেশ করে , অনিমিয়ার মতো ভয়ানক ব্যাধির সূত্রপাত ঘটায়। অত্যধিক বৃষ্টিতে রাস্থায় জমা জলের মধ্যে অবস্থিত টাইম কলের মুখ যদি জলের তোলা থেকে অনেক উপরে অবস্থিত না হয় তা হলে সেই জল বিশেষ করে খাদ্যের জন্য না গ্রহণ করাই উচিত। তা না হলে কলেরা , উদরাময়। আমাশা , নানা রকম কৃমির আক্রমণ এবং বিভিন্ন প্রকার পাকাসয় সন্ধির উপদ্রব হয়।
বর্ষা কালে কোনো খাবারের আগে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সঙ্গে লক্ষ রাখতে হবে হাতের নখ যাতে কোনো ভাবে বড় না হয়। নির্দিষ্ট সময়ে হাতের নখ কেটে ফেলতে হবে। কারণ আর ফাঁকে নানা বিধ রোগের উৎস লুকিয়ে থাকে।
সবশেষে সাধারণ মানুষকে বিশেষ করে গ্রামের মানুষ যারা এখনো পুকুরের জলকে কিংবা কুয়োর জলকে পানীয় হিসাবে ব্যবহার করেন তাদের সাস্থ সমন্ধে যথেষ্ট সচেতন করতে হবে। তাদের শেখাতে হবে কি ভাবে ব্যাবহারিক জলকে জীবাণু মুক্ত করতে হয়।