Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ‘এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই!’
নগর বাউলের এই রোম্যান্টিক উক্তিকে ঘিরে প্রেমিকের মন দোলাচল। কেউ বলে এর অর্থ, প্রেমিকার সঙ্গে এক কাপ চা খাওয়ার বাসনা। আবার কারও কাছে চা-ই হল প্রেমিকা! শুনতে উদ্ভট লাগলেও চা-খোরদের কাছে এটা চিরন্তণ সত্য। প্রেমিকার সঙ্গে তো আপোস করা যায় যে কোনও সময়ে। কিন্তু এক কাপ চায়ের সঙ্গে আপোস? নৈব নৈব চ!
আরব দেশে যেমন খেজুর, বাঙালির তেমন চা। এ যেন এক আবেগ, রোমাঞ্চ আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। অবশ্য শুধু বাঙালিই বা বলি কী করে, চা আসলে আপামোর ভারতীয়র কাছেই এক ‘সোহাগী চুমুক’। খারাপ মন ভালো করতে পারে এক কাপ চা। ভালো মনকে আরও উজ্জীবিত করতে পারে এক কাপ চা। আবেগে, বিরহে, উদ্বেগে, অবসাদে চা-ই একমাত্র বিশ্বস্ত জীবনসঙ্গী। চা-খোরদের দাবি, এক কাপ চা নাকি তাঁদের মাথা ধরা, জ্বর, গা বমি, পিঠে ব্যথা, বুক ধড়ফড়ানি, গা গোলানো ইত্যাদি সবই সারিয়ে দিতে পারে এক নিমেষে। মহামারীর সময় কিছু ‘মহাপুরুষ’ এমন দাবিও করেছিলেন যে, সংক্রমিত ব্যক্তিকে নিয়মিত চা খেতে দিলেই নাকি সে অনায়াসে সেরে যাবে! যাই হোক অতটা বাড়াবাড়ি না হলেও চায়ের গুণ নেহাত ফেলনা নয়। কোনও রাম-শ্যাম-যদু নয়, এমন দাবি করছেন মার্কিন মুলুকের বিশেষজ্ঞরা। তাই তো স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে US FDA-র অনুমোদন পেয়েছে ভারতীয়দের এই প্রিয় পানীয়।
আরো পড়ুন:– মাটি খুঁড়তে উঁকি দিল ৪ স্তরের ঐতিহাসিক ভাভ, তৈরির কারণ জানলে অবাক হবেন
আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ফল-ফুল-পাতা থেকে তৈরি ভেষজ চা-কে স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়। অথচ ‘স্বাস্থ্যকর পানীয়‘ হিসেবে ক্যামেলিয়া সিনেনসিস থেকে পাওয়া চা, মানে সাদা বাংলায়, আমরা যে চা খাই, তাকেই অনুমোদন দিয়েছে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)। আর তাদের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে নর্থ ইস্টার্ন টি অ্যাসোসিয়েশন (NETA) এবং ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (ITA)। এই অনুমোদনের ফলে ভারতীয় চা-এর বাণিজ্যিকীকরণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা দেশীয় সংস্থাগুলির।
প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং পানীয়র পরিবর্তে প্রাকৃতিক এবং জৈব খাদ্য-পানীয়র প্রতি গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। সেই তালিকায় এবার স্বীকৃতি পেল ভারতের চা। ভারতীয়দের প্রিয় হলেও চা পানের চল প্রথম শুরু হয়েছিল চিনে। প্রাচীনকালে চিনা আযুর্বেদশাস্ত্রে চা ভেষজ হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৬৫০ খ্রিস্টাব্দে চিনে বাণিজ্যিকভাবে চায়ের উৎপাদন শুরু হয়। আর ব্রিটিশদের উদ্যোগে ভারতবর্ষে এর চাষ শুরু হয় ১৮১৮ সালে।
আরো পড়ুন:– ৩ দিন বেপাত্তা বিমানের খোঁজ মিলল অদ্ভুত জায়গায়, ঘনাচ্ছে রহস্য
আরো পড়ুন:– ভিডিয়ো নিয়ে কড়া গাইডলাইন জারি YouTube-এর, চালানোর আগে জেনে নিন