মূত্রাশয়ের প্রদাহে সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

homeopathy

Bangla News Dunia, Pallab : মূত্রাশয়ের প্রদাহ (Cystitis) —–

শ্রেণীবিভাগ (Classification):

সিস্টাইটিস বিভিন্ন টিস্যুতে প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন:

1. Interstitial Cystitis:
মূত্রথলির মাংসপেশীর টিস্যু আক্রান্ত হলে।

2. Pericystitis:
মূত্রথলির চারপাশের পেরিটোনিয়াম আক্রান্ত হলে।

3. Paracystitis:
মূত্রথলির সংলগ্ন সংযোগকারী টিস্যু (Connective Tissue) আক্রান্ত হলে।

রোগনির্ণয় এবং পরীক্ষা (Diagnosis and Investigation):

সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা হয়:

1. লক্ষণ পর্যবেক্ষণ:

দিনে ও রাতে বারবার প্রস্রাবের বেগ এবং ব্যথা অনুভব।

প্রস্রাবে রক্তের উপস্থিতি।

2. মূত্র পরীক্ষার মাধ্যমে (Urine Test):

প্রস্রাবে পুঁজ কোষ (Pus Cell) পাওয়া যায়।

কখনও কখনও ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয়।

3. আল্ট্রাসনোগ্রাফি (Ultrasound):
মূত্রথলির আকার ও পাথরের উপস্থিতি নির্ণয়ের জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাফি কার্যকর।

4. কালচার টেস্ট (Culture Test):
ব্যাকটেরিয়ার ধরন নির্ধারণে প্রস্রাবের কালচার করা হয়।

আরো পড়ুন :- ফোন ধরলেই সর্বনাশ ! এই নম্বরগুলি থেকে কল আসলে ভুলেও তুলবেন না

মূত্রাশয়ের প্রদাহ (Cystitis): হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীর উপসর্গ ও ব্যক্তিগত শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। মূত্রথলির প্রদাহে ব্যবহৃত সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলো নিচে দেওয়া হলো:

গুরুত্বপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ

1. ক্যান্থারিস (Cantharis):

মূল লক্ষণ:

প্রস্রাবে তীব্র জ্বালাপোড়া।

বারবার প্রস্রাবের বেগ হলেও অল্প পরিমাণে প্রস্রাব হয়।

মূত্রের সঙ্গে রক্ত বা পুঁজ পড়া।

উপযুক্ত ক্ষেত্রে এটি দ্রুত কাজ করে।

2. বারবারিস ভালগারিস (Berberis Vulgaris):

মূল লক্ষণ:

তলপেট বা কোমরের দিকে তীক্ষ্ণ ব্যথা।

মূত্র ঘোলাটে বা রক্তমিশ্রিত।

প্রস্রাবে জ্বালা এবং ভার অনুভূতি।

3. সারসাপারিলা (Sarsaparilla):

মূল লক্ষণ:

প্রস্রাবের শেষ পর্যায়ে ব্যথা।

প্রস্রাব স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন বা রঙ পরিবর্তিত।

মূত্রথলির সংক্রমণের পরিপূরক ওষুধ।

4. মারকিউরিয়াস সলুবিলিস (Mercurius Solubilis):

মূল লক্ষণ:

রাতে প্রস্রাবের বেগ বেশি হয়।

মূত্রের সঙ্গে পুঁজ এবং রক্ত পড়া।

শরীরে ঘাম ও দুর্বলতা।

5. স্ট্যাফিস্যাগ্রিয়া (Staphysagria):

মূল লক্ষণ:

যৌন সংক্রমণজনিত সিস্টাইটিস।

প্রস্রাব করার পর জ্বালা এবং ব্যথা।

আঘাত বা মানসিক চাপে হওয়া সংক্রমণে কার্যকর।

6. নাইট্রিক অ্যাসিড (Nitric Acid):

মূল লক্ষণ:

প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া।

প্রস্রাবে তীব্র জ্বালাপোড়া এবং দুর্গন্ধ।

7. আর্সেনিকাম অ্যালবাম (Arsenicum Album):

মূল লক্ষণ:

তীব্র দুর্বলতা ও শীতল অনুভূতি।

প্রস্রাবের রঙ লাল বা ঘোলাটে।

বারবার মূত্রত্যাগের বেগ।

আরো পড়ুন :- মাত্র 3,530 টাকা ঢেলে 33 কোটি রিটার্ন ! 6 মাসে কোটিপতি বিনিয়োগকারীরা, জানুন সেই মাল্টিব্যাগার শেয়ার সম্পর্কে

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন