ল্যাব থেকে নিখোঁজ ৩০০ প্রাণঘাতী ভাইরাস, ফের মহামারির শঙ্কা?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ২০১৯-এর শেষ ২০২০-র শুরু থেকে ধীরে ধীরে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯ মহামারি। সন্দেহ করা হয়, চিনের উহানের এক ল্যাবরেটরি থেকে কোনোভাবে ফাঁস হয়েছিল সেই ভাইরাস। আবার এক ল্যাব থেকে হারিয়ে গেল শয়ে শয়ে মারাত্মক ভাইরাস। তবে এ বার চিনে নয়, এই ঘটনা ঘটল অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে। সোমবার কুইন্সল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, সেখানকার এক গবেষণাগার থেকে হেন্ড্রা ভাইরাস, লাইসাভাইরাস এবং হন্টাভাইরাস-সহ বেশ কয়েকটি সংক্রামক ভাইরাসের ৩২৩টি শিশি হারিয়ে গিয়েছে।

তারা জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অগস্টে কুইন্সল্যান্ডের পাবলিক হেলথ ভাইরোলজি ল্যাবরেটরি থেকে ওই ভাইরাস নমুনাগুলি হারিয়ে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার জনস্বাস্থ্য বিভাগকে অবিলম্বে এই ‘বায়োসিকিওরিটি প্রোটোকল লঙ্ঘনে’র তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে সেই দেশের সরকার। ভাইরাসের নমুনাগুলি চুরি করা হয়েছে নাকি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরো পড়ুন:- খাচ্ছি খাবার, গিলছি ‘বিষ’! শহরের খাবারের পুর–রিপোর্ট, কি জানা গেলো? 

অস্ট্রেলিয়ার মন্ত্রী টিমোথি নিকোলস বলেছেন, ‘বায়োসিকিওরিটি প্রোটোকলের লঙ্ঘন এবং সংক্রামক ভাইরাসের নমুনাগুলি নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কুইন্সল্যান্ডের স্বাস্থ্য দফতর এর তদন্ত করছে। তাদের দেখা উচিত, যাতে এই ঘটনা আবার না ঘটে।’ বস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এআই এবং লাইফ সায়েন্সের ডিরেক্টর স্যাম স্করপিনোও এই ভাইরাস হারিয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জানিয়েছেন, বিশেষ করে হন্টাভাইরাস এবং লাইসাভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক।

হেন্ড্রা একটি জুনোটিক ভাইরাস, অর্থাৎ, প্রাণী থেকে মানুষে ছড়ায়। এই ভাইরাস এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই দেখা গিয়েছে। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানিয়েছে, হন্টাভাইরাস থেকে গুরুতর অসুস্থতা তৈরি হতে পারে। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হয়। স্যাম স্করপিনো জানিয়েছেন, হন্টাভাইরাস সংক্রমনের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১৫ শতাংশ। এটি কোভিড-১৯-এর তুলনায় প্রায় ১০০ গুণ বেশি প্রাণঘাতী। অন্য ভাইরাসগুলি তীব্রতার দিক থেকে কোভিডের সমান বলা যায়।

লাইসাভাইরাস থেকে হতে পারে জলাতঙ্ক। সময়মতো চিকিৎসা না হলে এই সংক্রমণ মানুষের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে। তবে, প্যাথোজেনগুলির ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রামিত হওয়ার ক্ষমতা সীমিত। তাই, মহামারির ঝুঁকি কম।

আরো পড়ুন:- খাচ্ছি খাবার, গিলছি ‘বিষ’! শহরের খাবারের পুর–রিপোর্ট, কি জানা গেলো? 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন