শীতকালে স্নান না করলে ৩৪ শতাংশ আয়ু বাড়ে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই দাবি আদৌ কি সত্যি?

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শীতকালের সঙ্গে স্নানের নাকি একটা বৈমাত্রেয় সম্পর্ক রয়েছে। বাইরে উত্তুরে বাতাসের বেগ একটু বেশি হলেই একদল শীতকাতুরে স্নান করা বন্ধ করে দেয়। আর তাঁদের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম এবং ভিডিয়োর ছড়াছড়ি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, শীতকালে স্নান না করলে আয়ুষ্কাল ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। আর তা দেখে বেজায় খুশি অলস শীতকাতুরের দল।

ভিডিয়োতে জনৈক ডাঃ রেবেকা পিন্টোর দাবি করছেন যে, শীতকালে স্নান না করা এমন কিছুও খারাপ নয়। কারণ এই অভ্যাস ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত আয়ু বৃদ্ধি করতে পারে। এই চিত্তাকর্ষক ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ৬.৬ মিলিয়ন ভিউ পেয়েছে। তবে সবাই তাঁর দাবিকে যে মেনে নেননি তার প্রমাণ তাঁর কমেন্ট বক্স। অনেকেই আবার এই সংক্রান্ত কোনও গবেষণা পত্র বা জার্নাল আছে কিনা তা জানতে চেয়ে পালটা প্রশ্ন করেছেন। এবং তা থাকলে সেটিও শেয়ার করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ব্যবহারকারীরা। যদিও আশ্চর্যজনক এই দাবির সমর্থনে কোনও জার্নাল বা গবেষণাপত্রর উল্লেখ করেননি ডাঃ রেবেকা।

আরও পড়ুন:– বাংলাদেশের বাসিন্দাদের উপর বিপুল ট্যাক্স চাপালেন ইউনূস, বিপাকে সাধারণ মানুষ, বিস্তারিত জানুন

বিশেষজ্ঞদের দাবি

ঘন ঘন স্নান করলে ত্বকের মাইক্রোবায়োমের কিছু ক্ষতি হলেও হতে পারে। তবে শীতকালে সম্পূর্ণরূপে স্নান এড়িয়ে যাওয়া আখেরে ক্ষতিকারক। স্নান এড়িয়ে যাওয়া আয়ুষ্কাল ৩৪ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে এই দাবিটিকে অতিরঞ্জিত বলেও মনে করছেন বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ। তাঁদের দাবি, এর কোনও শক্তিশালী বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। বরং সম্পূর্ণরূপে স্নান এড়িয়ে যাওয়া উদ্বেগজনক স্বাস্থ্যবিধি এবং সংক্রমণের কারণ হতে পারে। স্নান করা বা না করার প্রভাব ত্বকে পড়লেও, দীর্ঘায়ু নির্ভর করে জিন, জীবনধারা এবং পারিপার্শ্বিকতার উপর। স্নান করার সঙ্গে দীর্ঘায়ুর কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

শীতেও স্নান জরুরি

বিশেষজ্ঞদের কথায়, সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন স্নান করা অপরিহার্য। অবশ্য অতিরিক্ত ঠান্ডা জলবায়ুতে প্রতিদিন স্নান করা অস্বাভাবিক। উষ্ণ জলে স্নান করলে শরীরে রক্ত প্রবাহ ভালো হয় এবং শিথিলতা দূর হয়। যা পরোক্ষভাবে হজমে সহায়তা করে। স্নানের অভাবে হজমের গণ্ডগোল যেমন হতে পারে, তেমনই তৈরি হতে পারে মানসিক চাপ।
শীতকালে স্নান না করার ফলে শরীরে ঘাম ও মৃত কোষ বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত দূষণের সৃষ্টি হতে পারে। এর জেরে ত্বকে সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।

ঠান্ডা বনাম গরম জল

শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করার কথা অনেকেই ভাবতে পারেন না। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ঠান্ডা হোক বা গরম জল, নিজেদের সুবিধামতো স্নান করলেই হবে। ঠান্ডা জলে স্নান করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, প্রদাহ কমে এবং শক্তির মাত্রা বাড়ে। আবার উষ্ণ গরম জলে স্নান করলে শরীরের শিথিলতা দূর হয়, পেশীর ব্যথা প্রশমিত হয়, প্রাকৃতিক আর্দ্রতা দূর না করে ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। অবশ্য অত্যাধিক গরম জল আবার শরীরকে শুষ্ক করে তুলতে পারে।

আরও পড়ুন:– উচ্চ বেতনে কলকাতা হাই কোর্টে কর্মী নিয়োগ চলছে! কিভাবে আবেদন করবেন দেখুন

আরও পড়ুন:– বিচারের ভুলে ২৫ বছর বন্দি থাকার পর সুপ্রিম নির্দেশে মুক্তি, পড়ুন এক নিদারুন কাহিনী

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন