Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : মূলত আফ্রিকা মহাদেশে মাঙ্কিপক্স দেখা যায়। তবে আফ্রিকার বৃষ্টি অরণ্যে এর মূল উৎস। স্মল পক্সের মতোই মাথার যন্ত্রণা, ব়্যাশ, জ্বর দিয়ে শুরু হয় এই পক্স। বিশ্বজুড়ে মাঙ্কি পক্সের বিভিন্ন কেস বাড়তে আরম্ভ করেছে। ইউরোপের দেশ গুলিতে প্রভাব বেশি দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা। রোগের মূল উৎস আফ্রিকায় খুঁজে পাওয়া গেলেও তা এবার ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে দিয়েছে।
স্মল পক্স ও মাঙ্কি পক্সের মিল কি ?
বিশিষ্ট চিকিৎসক সুলেমান লাধানি বলছেন স্মলপক্সের মতো তীব্র নয় মাঙ্কিপক্স। মূলত আফ্রিকায় এই মাঙ্কিপক্স দেখা যায়। তবে আফ্রিকার বৃষ্টি অরণ্যে এর মূল উৎস। স্মল পক্সের মতোই মাথার যন্ত্রণা, ব়্যাশ, জ্বর দিয়ে শুরু হয় এই পক্স।
স্মল পক্স ও মাঙ্কি পক্সের পার্থক্য কি ?
মাঙ্কিপক্সের ফলে গ্ল্যান্ড বা লিম্ফ নোড বড় হওয়ার প্রবণতা থাকে। দুটি ক্ষেত্রেই সঙ্গে থাকে জ্বর। মৃত্যুর হার ১০ শতাংশ, তবুও এই রোগে সচেতন থাকা প্রয়োজন। বলা হচ্ছে মাঙ্কিপক্স আসতে পারে পশু থেকে। ইঁদুর, কাঠবেড়ালির ত্বক বা তাদের আঁচড় থেকে এই পক্স হতে পারে। এছাড়াও এই প্রাণী গুলির রক্ত থেকে এই সমস্যা দানা বাঁধতে পারে। যদি সেই প্রাণী নিজে এই রোগে আক্রান্ত থাকে, তবেই প্রাণী থেকে এই রোগ ছড়াতে পারে
কীভাবে ছড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স ?
মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সর্দি, কাশি থেকে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। সঙ্গমের থেকেও এই রোগ ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভাইরাস রয়েছে এমন কোনও জিনিস, বা পোশাক, ভাইরাস আক্রান্তের রক্ত থেকে ছড়িয়ে যায় এই রোগ।
কীভাবে সারে এই রোগ ?
চিকিৎসকরা বলছেন ২ সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায় মাঙ্কিপক্স। এটি নিজে থেকেই সেরে ওঠে বেশিরভাগ কেসে। তবে প্রয়োজনে ওষুধের দরকার পড়ে। অল্প থাকতেই বা লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসায় সেরে ওঠে মাঙ্কিপক্স, বলছেন চিকিৎসক লোধানি।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল