Bangla News Dunia , পল্লব : হাঁপানী এক প্রকার দুরারোগ্য ব্যাধি। নানা কারনে এই পীড়া হইয়া থাকে। পিতামাতা হইতে অর্থাৎ বংশানুক্রমে অধিকাংশ স্থলে এই পীড়া হয়। ঠান্ডা লাগা অত্যন্ত শারীরিক পরিশ্রম, অধিক ধুমপান ধুলা বালিতে কাজ প্রভৃতি কারনে এই পীড়া হইতে পারে। এই পীড়া সকল বয়সেই হইতে পারে। তবে শিশু ও বৃদ্ধ দিগের ইহা অধিক হইতে দেখা যায়। শ্বাস কষ্ট, বুক সাটিয়া ধরে। শয়ন করিতে পারেনা। বুকের ভিতর সাঁই সাঁই ঘড় ঘড় শব্দ, শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট। ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়। স্থায়ী মুক্তি দিতে পারে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। জানুন ঔষধ সম্পর্কে —
একোনাইট ন্যাপ (Aconite Nap) : ভীষণ হাঁপানীর টান। প্রবল শ্বাস কষ্ট। শুইতে বা বসিতে পারে না। অত্যন্ত অস্থিরতা মৃত্যু ভয়, ছটফটানি গলায় সাঁই সাঁই শব্দ। ইত্যাদি লক্ষণে একনাইট অব্যর্থ।
আরো পড়ুন:- ৯ বছর পর উচ্চ প্রাথমিকে ১৪০৫২ শিক্ষক নিয়োগ! DA, HRA, বেতন সহ মাসে কত পাবেন তাঁরা?
ক্যনাবিস স্যাটাইবা (Cannabis Satiba) : হাঁপানী কাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসে অত্যন্ত কষ্ট। বুক চাপিয়া যায়। রোগী হাঁপাইতে থাকে। পাখার বাতাস চায়।
ব্লাটা ওরি (Blatta Ore) : হাঁপানী কাঁশির একটি উত্তম ঔষধ। প্রবল হাঁপানীর টানের সময় ইহার Q ৩/৪ ফোঁটা সামান্য জলের সহিত অর্ধ বা এক ঘন্টা অন্তর কয়েক মাত্রা সেবন করিলে, হাঁপানীর টান শ্বাস কষ্টের উপশম হয়। পরে 30 শক্তি প্রত্যহ এক মাত্রা। দুই সপ্তাহ পর 200 শক্তি সপ্তাহে এক মাত্রা। এই ভাবে কিছুদিন সেবন করিলে হাঁপানী পুনঃআক্রমনের ভয় থাকে না।
ক্যাসিয়া সোপেরা (Cassia Sophera) : সর্ব প্রকার হাঁপানীতে ইহা আমোঘ। অত্যন্ত শ্বাস কষ্ট সেই রূপ কাশিতে কষ্ট। রোগী শুইতে পারে না বসিয়া থাকিতে বাধ্য হয়। কাশিতে ভীষণ কষ্ট ইহার প্রধান পরিচয়।
হাঁপানী পীড়ায় অতিরিক্ত আহার করা উচিত নয়। বিশেষত রাতে আহার করা নিষিদ্ধ। হাঁপানী রোগী অধিক পরিশ্রম করা নিষেধ। গরম কাপড় দ্বারা বক্ষ আবৃত রাখা ভাল। ঠান্ডা খাদ্য, ঠান্ডা স্থানে বাস করা নিষিদ্ধ। দুগ্ধ পান, পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থেয়। ধুমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। #End