Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পেতে অনেক সংগ্রাম করে হচ্ছে? অথচ এই ভারসাম্য রক্ষা করার কৌশল লুকিয়ে রয়েছে প্রাচীন ভারতীয় যোগাভ্যাসে। প্রতিদিন নিয়ম করে ১০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত বৃক্ষাসন অভ্যাস করুন। নিয়মিত এই অভ্যাসের ফলে পেশী শক্তিশালী হয়, মনোযোগ শক্তি বাড়ে এবং মনে থাকে গভীর প্রশান্তি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ (NIH)-এর একটি গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত বৃক্ষাসন করলে অস্টিওপোরোসিস আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে স্থির এবং গতিশীল ভারসাম্য উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়। এ ছাড়াও এর থেকে অনেক উপকার মেলে।
বৃক্ষাসনের উপকারিতা-
– নিয়মিত বৃক্ষাসনের অভ্যাস করলে পা, গোড়ালি এবং মজ্জা শক্তিশালী হয়। শরীরকে স্থির থাকতে সাহায্য করায়, পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে। বিশেষ করে বয়স্ক, ক্রীড়াবিদ এবং আঘাত থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের জন্য এই আসন বেশ উপকারী।
– নিয়মিত বৃক্ষাসনের অভ্যাসে একাগ্রতা বৃদ্ধি পায়, মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে এবং মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
– উরু, পায়ের গুলি এবং গোড়ালির মতো পায়ের পেশীগুলি শক্তিশালী হয়। ফলে হাঁটা, দৌড়ানো এবং দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকার মতো দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপের ক্ষমতা বাড়ায়।
– বৃক্ষাসন মেরুদণ্ড সারিবদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এতে পিঠ সোজা থাকায় পিঠ ও কোমরের ব্যথা কমে। এ ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে।
– এই ভঙ্গি নিতম্বকে আলতো করে খুলে দেয় এবং হাঁটু ও গোড়ালির নমনীয়তা বাড়ায়। এর ফলে জয়েন্টের শক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না এবং আঘাতের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
– বৃক্ষাসনের সময় গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার সময় মনকে শান্ত হয় এবং চাপ কমে।
– বৃক্ষাসনের নিয়মিত অভ্যাসের ফলে মজ্জার শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মেরুদণ্ড, কোমর, পিঠ ইত্যাদির ভঙ্গি উন্নত হয়। ব্যথা কমে।
– এই আসনের ফলে শরীরের নড়াচড়া সম্পর্কে মস্তিষ্কের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। শরীর এবং মনের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হয়। ক্রীড়াবিদ, নৃত্যশিল্পী এবং বয়স্কদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী।
– বৃক্ষাসনের সময় নিয়ন্ত্রিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলে ফুসফুস ভালো থাকে। শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় থাকে। রক্তসঞ্চালন ভালো হয়।