Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গ্যাসের ওষুধ অ্য়াসপিরিন খান অনেকেই ৷ চিকিৎসকের পরামর্শে অ্য়ালার্জির জন্য ‘প্রোমেথাজাইন ইনজেক্সন’ নিচ্ছেন অনেক রোগী ৷ আলসারের চিকিৎসার জন্য সুক্রালপেট ইউএসপি ওষুধ খেতে হয় অনেক রোগীকে ৷ কিন্তু, জানেন কী সাম্প্রতি গুণমানের পরীক্ষায় কার্যত শূণ্য পেয়েছে এই সমস্ত ওষুধ ? সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন সংস্থার তৈরি মোট 111টি ওষুধকে নিম্নমানের তকমা দিল কেন্দ্র ও রাজ্যের ওষুধ ল্যাবোরেটরি ৷ যদিও ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে বলে জানালো কেন্দ্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রক ৷
গত নভেম্বরে প্যারাসিটামোল, প্যান ডি-এর মতো নিত্যব্যবহৃত 41টি ওষুধকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ‘সেন্ট্রল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’ (CDSCO) ৷ সেই সঙ্গে, 70টি ওষুধকে নিম্নমানের বলে ঘোষণা করে রাজ্যের ওষুধ পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি ৷ তালিকায় ডায়াবেটিসের জন্য ব্যবহৃত ওজোমেট পিজি-2, আলসারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সুক্রালপেট ইউএসপি, গ্যাসের সমস্যার জন্য ব্যবহৃত অ্য়াসপিরিন-সহ একাধিক ওষুধের নাম রয়েছে ৷ ওষুধগুলির কারখানা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে ৷
সিডিএসসিও-র প্রতিমাসের পোর্টালে ‘নন-স্ট্যান্ডার্ড’ বা গুণগতভাবে নিম্নমানের ওষুধের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “ওষুধে বিশেষ কিছু উপাদানের প্যারামিটারের উপর ভিত্তি করে গুণগত মানের পরীক্ষা করা হয় ৷ বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে একাধিক ল্যাবোরেটরিতে সেগুলির যাচাই করা হয় ৷ সরকারি পরীক্ষায় ব্যর্থ নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধকে নিম্নমানের তালিকাভুক্ত করা হয় ৷ যদিও সংস্থার বাকি ওষুধের পণ্যগুলির গুণমানের ক্ষেত্রে সেই নিশ্চয়তা থাকছে না ৷ ফলে, নজর এড়িয়ে সেই সমস্ত ওষুধগুলি বাজারে চলে আসছে ৷”
উল্লেখ্য, নভেম্বরে 2টি ওষুধের নমুনা থেকে জাল ওষুধ শনাক্ত করা হয় ৷ একটি হল পাকস্থলি ও খাদ্যনালি সংক্রান্ত সমস্যাগুলির জন্য ব্যবহৃত ‘প্যান-40’ ও অপরটি হল ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত অ্যামোক্সোসিলিন ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ৷
আরো পড়ুন:– প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কোন কাজকে সেরা মনে করতেন মনমোহন? কী নিয়ে ছিল আক্ষেপ?