Bangla News Dunia, Pallab : Appendicitis (#এপেন্ডিসাইটিস) সাধারণত নাভীর নীচে ডানপাশে তলপেটের তীব্র ব্যথাকে এপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। এই পজিশনে এপেন্ডিক্স (Appendix) নামে একটি কেঁচোর মতো একটি অংশ আছে ; ইহাতে ইনফেকশন / প্রদাহ হওয়াকেই এপেন্ডিসাইটিস বলা হয়। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো প্রথমে ব্যথা (তলপেটের ডানপাশে), তারপরে হয় বমি এবং শেষে হয় জ্বর। সমস্ত পেটই এতো সেনসেটিভ হয় যে, হালকাভাবে স্পর্শ করলেও রোগী ব্যথা পায়। এপেন্ডিসাইটিসের একটি প্রধান লক্ষণ হলো, রোগীর পেটে জোরে চাপ দিয়ে হঠাৎ চাপ ছেড়ে দিলে (Rebound tenderness) রোগী প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে থাকে। সে যাক,
এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা ৯৯% ভাগ ক্ষেত্রেই অপারেশান ছাড়া এপেন্ডিসাইটিস সারাতে পারে না কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে ১০০% ভাগ কেইস-ই বিনা অপারেশানে সারানো যায়।
Bryonia alba : এপেন্ডিসাইটিসের সবচেয়ে ভালো ঔষধ হলো ব্রায়োনিয়া। কেননা -চাপ ছেড়ে দিলে ব্যথা হয়- এই অদ্ভূত লক্ষণটি ব্রায়োনিয়ায় আছে। সাধারণত ৫০,০০০ (বা 50M), ১০০,০০০ (বা CM) ইত্যাদি উচ্চ শক্তিতে এক মাত্রা খাওয়ানোই যথেষ্ট ; কিন্তু নিম্ন শক্তিতে খেলে রোজ কয়েকবার করে কয়েকদিন খাওয়ানো লাগতে পারে।
Iris tenax : ইরিস টেনক্সকে বলা হয় হোমিওপ্যাথিতে এপেন্ডিসাইটিসের একেবারে স্পেসিফিক ঔষধ। কেননা ইহা যত মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই তলপেটের ডানপাশে তীব্র ব্যথার লক্ষণ পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন :- ‘বাংলাদেশের চিঠি পেয়েছি’, জানুন হাসিনাকে ফেরানো নিয়ে কী বলল কেন্দ্র ?
Iodium : আয়োডিয়াম ঔষধটি রাক্ষসের মতো ক্ষুধা তৈরী করতে পারে। আয়োডিয়ামের লক্ষণ হলো প্রচুর খায় কিন্তুতারপরও দিনদিন শুকিয়ে যেতে থাকে এবং গরম সহ্য করতে পারে না। যাদের ক্ষুধা খুব বেশী তারা এটি খেলে ক্ষুধা কমে আসবে। অন্যদিকে যাদের ক্ষুধা খুবই কম তারা খেলে ক্ষুধা বেড়ে যাবে। খেতে হবে নিম্নশক্তিতে (Q,৩, ৬) পাঁচ ফোটা করে রোজ তিনবার।
Alfalfa : আলফালফা ঔষধটি নিয়মিত অনেকদিন খেলে ক্ষুধা, ঘুম, ওজন, হজমশক্তি ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়। নিম্নশক্তিতে (Q) দশ ফোটা করে রোজ তিনবার করে খেতে পারেন। দ্রুত ওজন বাড়াতে চাইলে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ-ষাট ফোটা করে খেতে পারেন। তবে কোন সমস্যা হলে কমিয়ে খাওয়া উচিত। ইহার স্বাদ যেহেতু খারাপ সেহেতু শিশুদেরকে চিনি বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।