Bangla News Dunia, জয় রায় :- গোটা বিশ্বে সারা বছর প্রচুর মানুষ মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এমন কি প্রচুর মানুষ এই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারাও যান। যদি সঠিক সময়ে এই ব্যাধির চিকিৎসা না করা হয় তবে মৃত্যু অনিবার্য। তবে আমেরিকার ক্যান্সার সোসাইটির একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে আপনার কাজের জন্য ও আপনার ক্যান্সার হতে পারে।
তাই আপনি অজান্তেই আপনার কর্মস্থানে ক্যান্সারের শিকার হচ্ছেন না তো। নির্দিষ্ট কিছু পেসার মানুষের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে যেমন ফ্লাইট এটেনডেন্ট পেসার মানুষের স্তন ও ত্বক ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্বাভনা বেশি থাকে।
যে সব কাজ গুলি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় :-
কৃষি কাজ :- একটি সমীক্ষায় জানা যায় কৃষি কাজে যুক্ত মহিলা ও পুরুষ উভয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার প্রবণতা অনেক বেশি। কারণ কৃষি কাজ করতে গিয়ে তাদের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। আর এই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়।
কৃষকরা যখন এই কৃটনাশক ও রাসায়নিক সার তাদের জমিতে দেয় তখন তা তাদের শরীর স্পর্শ করে ও নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তাদের শরীরে এই কেমিকাল প্রবেশ করে তার ফলে তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রবণতা বেড়ে যায়। লিউকেইমিউস ,লিম্ফোমাস ও অন্যান্য কয়েকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এই ক্যান্সারের থেকে বাঁচতে কৃষকদের অর্গানিক চাষের দিকে নজর দেওয়া দরকার। আর এই অর্গানিক চাষে কৃষকের লাভের পরিমান ও বেশি থাকে।
নির্মাণ শ্রমিক :- নির্মাণ শ্রমিকরা সারা দিন প্রখর সূর্যের আলোতে কাজ করে ফলে তাদের ত্বকের ক্যান্সারের প্রবণতা বেড়ে যায়। কারণ সূর্যের আলো ত্বকের ক্ষতি করে। আর নির্মাণ শ্রমিকরা বেশি সময় ধরে সূর্যের আলোতে থাকে বলে তাদের ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে।
এর থেকে বাঁচতে নির্মাণ শ্রমিকদের সারা শরীর ঢাকা জামা পরে কাজ করা উচিত।
কৃত্তিম রবার নির্মাতা :- কৃত্তিম রবার নির্মাতাদের রাসায়নিক ও রাসায়নিক বাস্প ও অন্যান্য বিভিন্ন কেমিকাল এর সংস্পর্শে আসার কারণে পাকস্থলী , ফুসফুস ও মূত্রাশয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
এই শিল্পে যুক্ত ব্যক্তিদের নির্দিষ্ট পরিমানে প্রোটেকশন দেওয়া প্রয়োজন এতে তাদের স্বাস্থ ভালো থাকবে।
খনন কর্মী :- খনন কাজে প্রচুর পরিমানে ধূলিকণা বাতাসে ওরে আর সেই ধূলিকণা খনন কর্মীদের নিঃশ্বাসের মধ্যে দিয়ে তাদের ফুসফুসে পৌঁছে তা ব্লক করে দেয়। এর ফলে সঠিক পরিমানে রক্ত চলাচল করতে পারে না ও ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়।
এই শিল্পে যুক্ত ব্যক্তিদেরও নির্দিষ্ট পরিমানে প্রোটেকশন দেওয়া প্রয়োজন এতে তাদের স্বাস্থ ভালো থাকবে।
হেয়ার স্টাইলিস্ট :- হেয়ার স্টাইলিস্টরা মানুষের মাথার চুলের স্টাইল করার সাথে সাথে তাদের চুলের রং করে দেয়। আর এই রঙে থাকে প্রচুর পরিমানে ক্ষতিকারক কেমিকাল যা তাদের ত্বক ও নিঃশ্বাসের মাধ্যমে তাদের শরীরে প্রবেশ করে। ফলে ফুসফুস ক্যান্সার ও মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর সাথে আরো বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে।
এর থেকে বাঁচার জন্য তাদের পুরো শরীর ঢাকা পোষাক পড়া উচিত ও তার সাথে কাজের সময় হাতে ভালো গ্লাভস ও মুখে মাস্ক পরে নেওয়া দরকার।
এছাড়াও আপনার যদি মনে হয় আপনার কর্মস্থলে কাজের জন্য আপনার শরীরের ক্ষতি হচ্ছে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।