Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের কারণে পুনেতে এক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে শোরগোল। মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তরের সন্দেহ, গিইয়ান বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই ভারতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ পার করেছে।
মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, গিইয়ান বারি সিনড্রোমে আক্রান্ত সন্দেহে মৃত ব্যক্তি পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। তিনি পুনের ডিএসকে বিশ্ব এলাকায় বাস করতেন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ডায়ারিয়াতে ভুগছিলেন। ব্যক্তিগত কাজে সম্প্রতি পুনের সোলাপুরে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তাঁর শরীরে নানা উপসর্গ দেখা যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সোলাপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। জানা যায়, তাঁর হাত-পা ক্রমশ অসাড় হয়ে যাচ্ছিল। রাখা হয় ICU-তে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন জানিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই ICU-তে থেকে জেনারেল বেডে শিফট করা হয় ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে। তবে বাস্তবে দেখা যায় শ্বাসকষ্ট বাড়তে শুরু করে তাঁর। শনিবার রাতে ওই হাসপাতালেই তিনি মারা যান।
বর্তমানে এই GB সিনড্রোমে আরও ১৬ জন ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। পুনেতে এই রোগে আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে ন’বছরের নীচের ১৯ শিশু। এ ছাড়াও ২৩ জন প্রৌঢ় ও বৃদ্ধের শরীরের থাবা বসিয়েছে এই বিরল সিনড্রোম।
কী এই গিইয়ান বারি সিনড্রোম?
গিইয়ান বারি সিনড্রোম এক ধরনের অটোইমিউন ডিজ়িস। দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন স্নায়ুতন্ত্রের একাংশকে আক্রমণ করে তখন এই সিনড্রোম দেখা যায়। এর জেরে শরীরের নানা নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার দেখা দেয়। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলো হাত-পা অসাড় হয়ে আসা। হাত, পা-সহ শরীরের নিম্নাংশে প্রবল ব্যথা ও দুর্বলতা অনুভব হয়। তারপর তা শরীরের অন্য অংশেও ছড়াতে শুরু করে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশির সংবেদনশীলতাও নষ্ট হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার দিন কয়েক পর থেকে খাবার খেতে, শ্বাসপ্রশ্বাসেও সমস্যা দেখা যায়। এর জেরে শরীরের কিছু অঙ্গে পক্ষাঘাত হতে পারে।