উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে পরপর তিন বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আর এর নেপথ্যে অন্তর্ঘাত রয়েছে (Sabotage) বলেই দাবি করলেন তিনি। তাই এবার এনিয়ে সিক্রেট সার্ভিসকে (Secret Service) তদন্তের নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় যোগ দিতে নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে পৌঁছেই একের পর এক যান্ত্রিক সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, প্রথমে সভাস্থলে বক্তৃতা দিতে চলমান সিঁড়িতে করে যাচ্ছিলেন সস্ত্রীক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আচমকাই সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে হেঁটেই উপরে যান তাঁরা। এরপর সভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময়ও টেলিপ্রম্পটারটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এরপর নিজের মতো করেই বক্তৃতা দেন ট্রাম্প। শেষে তিনি এও অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার সাউন্ড সিস্টেমেও ত্রুটি ছিল। তাঁর বক্তৃতা শুনতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের বেগ পেতে হয়েছে বলে দাবি ট্রাম্পের।
ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্টে প্রত্যেকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপুঞ্জে একের পর এক অসম্মানজনক ঘটনা ঘটেছে। একটি-দু’টি নয়, বরং তিনটি অশুভ ঘটনা ঘটেছে। সভায় বক্তৃতা দিতে যাওয়ার সময় চলমান সিঁড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ভাগ্যিস আমি আর মেলানিয়া সিঁড়ির হাতল ধরেছিলাম, নয়তো ভয়ংকর কাণ্ড ঘটে যেত।’ এরপরই তিনি বলেন, ‘প্রথমে চলমান সিঁড়ি এবং তারপর খারাপ টেলিপ্রম্পটার। টেলিপ্রম্পটারটি প্রায় ১৫ মিনিট পর চালু হয়েছিল।’ সব শেষে সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “বক্তৃতার শেষে আমি প্রথমে মেলানিয়াকে দেখেছিলাম। তখন ওঁ বলল, ‘আমি তোমার বক্তৃতায় একটা শব্দও ঠিক করে শুনতে পাইনি।’ এটা কোনও কাকতালীয় ঘটনা ছিল না। এটা আসলে রাষ্ট্রপুঞ্জে তিনটি অন্তর্ঘাত ছিল।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবকে চিঠি পাঠাবেন। যদিও রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছিলেন, তদন্তে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধিদলের একজন চিত্রগ্রাহক ট্রাম্প ও মেলানিয়াকে দেখে সামনে পৌঁছোনোর চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই সেফটি প্রোটোকল অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলমান সিঁড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসনের আধিকারিকরা রাষ্ট্রপুঞ্জের ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। হোয়াইট হাউসের দাবি, এর পেছনে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে।