Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : কোলাহল ব্যস্ততাময় জীবন থেকে মুক্তি পেতে হলে ঘুরে আসুন কোলাঘাট রাইন গ্রাম থেকে। রূপনারায়ণ নদীর কোলে সবুজ প্রকৃতিতে মোড়া রাইন গ্রাম। প্রকৃতির শান্ত ছায়ায় নিরিবিলি সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা রাইন। কোলাঘাট ব্লকের উত্তরে অবস্থিত রাইন গ্রাম। সকালে পাখির কলতানে আজও ঘুম ভাঙ্গে গ্রামের মানুষের। প্রকৃতির সঙ্গে নিবিড় ভাবে একাত্ম হওয়ার আদর্শ জায়গা এই রাইন গ্রাম। শহুরে কোলাহল ভুলে সবুজে মোড়া প্রকৃতির সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে কোলাঘাটের রাইন গ্রামে আসতেই হবে। পুজোর সময়েও যাঁরা ভিড় এড়াতে চান ঘুরে আসতে পারেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রবেশ পথ কোলাঘাট। রূপনারায়ণ নদ আলাদা করে রেখেছে পূর্ব মেদিনীপুর হাওড়া জেলাকে। পাশাপাশি এই দুই জেলাকে জুড়ে রেখেছে নদীর উপরের শরৎ সেতু। পূর্ব দক্ষিণ রেল লাইন কোলাঘাটকে জুড়ে রেখেছে। বয়ে যাওয়া রূপনারায়ণ নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত কোলাঘাট রাইন গ্রাম। সময়ের নিয়মে মাটির কাঁচা বাড়ি পাকা হয়েছে। সবুজ ধান ক্ষেত, সবুজ গাছগাছালি, খোলা আকাশ আর বিশুদ্ধ বাতাস। রূপনারায়ণ তীরবর্তী এলাকায় ঝাউ বনের ছায়ায় হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি কোলাঘাট রাইন গ্রামকে করেছে অনন্য।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফুল ও সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত কোলাঘাট। কোলাঘাট স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে ফুলের বড় মার্কেট। রূপনারায়ণ তীরবর্তী হওয়ায় উর্বর দোআঁশ মাটিতে ফুটে ওঠে হরেক রকম ফুল। বাদ যায় না রাইন গ্রাম। তাই শীতকালে রাইন গ্রাম সেজে ওঠে নানা রঙের ফুল সাজে। গ্রামে রয়েছে একটি প্রাচীন শিব মন্দির। রয়েছে কালী মন্দির।
ঘুরে আসতে পারেন দেবদেবীর ডাকের বা শোলার গহনা তৈরির মালাকার পাড়া থেকে। বংশ পরম্পরায় আজও একই পেশায় রয়েছে মালাকারেরা। যাদের তৈরি গহনা বড় বড় পুজো প্যান্ডেলের দুর্গা প্রতিমা সাজসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বৃদ্ধাশ্রম। রয়েছে সরকারি গ্রন্থাগার। এই পুজোয় বেরিয়ে আসুন।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল