Durgapur gang rape case | নির্যাতিতার সহপাঠীর ৭ দিনের পুলিশ হেপাজত, ওয়াসিফের মামলা নিতে অস্বীকার আইনিজীবীদের     

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়ার সহপাঠী ওয়াসিফ আলিকে। বুধবার সকালে ওয়াসিফ আলিকে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। ঘটনার তদন্তে ধৃত এই ডাক্তারি পড়ুয়াকে দশ দিনের পুলিশ হেপাজত চেয়ে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে আবেদন করে পুলিশ। এদিন ধৃতের পক্ষে সওয়াল করার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের কোনও আইনজীবী এজলাসে দাঁড়ায়নি।

এই প্রসঙ্গে দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি চন্দন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। কোনও আইনজীবী এই মামলায় ধৃতদের হয়ে দাঁড়াতে চাইছেন না। এটাই আইনজীবীদের সিদ্ধান্ত। আমরা এই ব্যাপারে কোন আইনজীবীকে জোর করতে পারি না।

এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো এদিন ধৃতর হয়ে এজলাসে ছিলেন মহকুমা লিগ্যাল সার্ভিসেসের (এসডিএলএস) আইনজীবী পূজা দেবী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আছে, কোনও অভিযুক্তর হয়ে কোন আইনজীবী যদি না থাকেন, সেক্ষেত্রে ডিএলএসকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। যদি, পরে অভিযুক্তের  হয়ে কোন আইনজীবী এজলাসে আসেন, তখন আমরা সরে দাঁড়াবো।”

এদিন এজলাসে বিচারক এই মামলার আইও বা তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চান, আপনি কি চাইছেন? তখন আইও অভিযুক্তর মেডিকেল পরীক্ষা করাতে চাইলে, বিচারক সেই অনুমতি দেন। এর পাশাপাশি বিচারক পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে ধৃতর জামিন নাকচ করে সাতদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।

নির্যাতিতার সহপাঠী ধৃত ওয়াসিফ আলি মালদহের কালিয়াচক থানার সিলামপুরের বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গতঃ, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ৫ জনের মধ্যে তিনজনের ১০ দিন ও বাকি দুজন ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছিলেন নির্যাতিতার সহপাঠীর আচরণ সন্দেহজনক। তাকে জেরা করা হচ্ছে। এর ঠিক একঘন্টা পরেই তাকে গ্রেপ্তার করে নিউটাউনশিপ থানার পুলিশ। পুলিশ কমিশনার একইসঙ্গে মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন, ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণ করা হয়নি। একজনই তাকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু, সেই একজন কে তা পুলিশ এখনও বার করতে পারেনি। ধৃত ৬ জনের মেডিকেল পরীক্ষা ও ফরেনসিক পরীক্ষার পরে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ ঐ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ওডিশার বাসিন্দা দ্বিতীয় বর্ষের ঐ ডাক্তারি পড়ুয়া। গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার তিনজনকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। তারপরে রবিবার রাতে ও সোমবার সকালে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতদের জামিন নাকচ করে ৯ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, শুক্রবার রাতে কলেজের এক সহপাঠীর সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছিলেন ঐ ডাক্তারি পড়ুয়া। তারা কলেজের বাইরে রাস্তায় হাঁটছিলেন। সেই সময় প্রথমে তিনজন তাদের রাস্তা আটকায়। সহপাঠী সেখান থেকে পালিয়ে গেলে মেয়েটিকে রাস্তার পাশে জঙ্গলে টেনে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় সহপাঠীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সহপাঠীর বিরুদ্ধে।

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন