Flight new rules: বিমান যাত্রীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বস্তিদায়ক পদক্ষেপ নিতে চলেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। প্রস্তাবিত নতুন নিয়মাবলীর মাধ্যমে বিমান যাত্রীদের অধিকার আরও সুরক্ষিত হতে চলেছে, যা নিঃসন্দেহে দেশের বিমান ভ্রমণ ব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই নতুন নিয়মগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো বুকিং করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিনামূল্যে ফ্লাইট বাতিল এবং অন্যান্য স্বচ্ছতা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তা। এই পদক্ষেপ বিমান যাত্রাকে আরও নমনীয় এবং ন্যায্য করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত এই নিয়মগুলি কার্যকর হলে যাত্রীরা অনেক বেশি সুবিধা পাবেন এবং তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনায় অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনের জন্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে না। বর্তমানে, অনেক এয়ারলাইনসই ফ্লাইট বাতিলের জন্য উচ্চ হারে চার্জ নিয়ে থাকে, যা যাত্রীদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এই নতুন নিয়ম সেই সমস্যা সমাধানে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে।
এয়ারলাইনস এবং এজেন্টদের উপর প্রভাব
DGCA-এর এই নতুন নিয়মগুলি কার্যকর করার জন্য বিমান সংস্থা এবং ট্র্যাভেল এজেন্টদের উপর বড় দায়িত্ব বর্তাবে।
- এয়ারলাইনস: বিমান সংস্থাগুলিকে অবিলম্বে তাদের অনলাইন বুকিং সিস্টেম আপডেট করতে হবে। তাদের ভাড়ার নিয়মগুলি (fare rules) নতুন করে সাজাতে হবে যাতে ৪৮ ঘণ্টার বিনামূল্যে বাতিলের সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করা যায়। প্রযুক্তিগত এবং পরিকাঠামোগত এই পরিবর্তনগুলি দ্রুত সম্পন্ন করা এয়ারলাইনসগুলির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
- ট্র্যাভেল এজেন্ট: একইভাবে, ট্র্যাভেল এজেন্টদেরও তাদের বুকিং এবং রিফান্ড প্রক্রিয়া সংশোধন করতে হবে। তাদের নিশ্চিত করতে হবে যে যাত্রীরা এই নতুন সুবিধা সম্পর্কে অবগত এবং তারা সহজেই এর लाभ নিতে পারেন।
এই পরিবর্তনগুলি শুধুমাত্র সিস্টেম আপডেটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং কর্মীদের প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন হবে যাতে তারা নতুন নিয়মাবলী সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে এবং যাত্রীদের সহায়তা করতে পারে।
প্রয়োগ এবং গ্রাহক অভিযোগ
এই নিয়মগুলি যাতে সঠিকভাবে পালন করা হয়, তার জন্য DGCA একটি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে। ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে পরামর্শের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নিয়মগুলি চূড়ান্ত করা হবে।
-
নিয়ম না মানলে: যদি কোনো বিমান সংস্থা এই নতুন নিয়মগুলি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে DGCA জরিমানা এবং নিয়ন্ত্রক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি তাদের লাইসেন্সকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে সমস্ত বিমান সংস্থা যাত্রীদের অধিকারকে সম্মান করে।
-
অভিযোগ প্রতিকার: যদি কোনো যাত্রী রিফান্ড পেতে দেরি বা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হন, তবে তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য একটি সুস্পষ্ট ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাত্রীরা নিম্নলিখিত প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ দায়ের করতে পারেন:
- এয়ার সেবা পোর্টাল (Air Sewa Portal) ওয়েবসাইট
- ডিজিসিএ কনজিউমার গ্রিভেন্স সেল (DGCA Consumer Grievance Cell)
- ন্যাশনাল কনজিউমার হেল্পলাইন বা কনজিউমার কোর্ট (National Consumer Helpline or Consumer Court)
এই প্রস্তাবিত নিয়মগুলি বিমান চলাচল খাতে গ্রাহক সুরক্ষার দিকে একটি প্রগতিশীল পদক্ষেপ। এটি যাত্রীদের জন্য একটি আরও নমনীয় এবং ন্যায্য ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেবে বলে আশা করা যায়।
Follow Us














