Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : করোনা আবহে সুস্থ থাকতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে মরশুমি শাকসবজি অপরিহার্য। তেমনই শীতকালীন সুপারফুড হল গাজর। একটি মূল জাতীয় সবজি। যা বেশ কিছু উপকারে কাজে লাগে।
তার মধ্যে গাজর খাওয়ার সেরা উপায় হল ভালো করে চিবিয়ে খান, এটি আপনার দাঁতের জন্যও ভালে। লিভারের জন্যও দারুণ। দেখুন কি কি সুবিধা —–
১. গাজরে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে, যা শরীরে কোলাজেন তৈরি হওয়া বৃদ্ধি করে। শরীরে কোথাও ক্ষত হলে তা দ্রুত ভালো হয়। গাজর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
২. গাজর ফাইবার বা আঁশে পরিপূর্ণ। গবেষণা অনুযায়ী, ডায়াবেটিসে আক্রান্তরা বেশি পরিমাণে ফাইবার খেলে মেটাবলিজম উন্নতি লাভ করে। ডায়াবেটিসের রোগীদের গাজর খাওয়া আবশ্যক।
৩. গর্ভাবস্থায়ও খেতে পারেন গাজর। গর্ভাবস্থায় গাজরের রস পান খুব উপকারী। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হয় না। যেসব মা শিশুকে দুধপান করান, নিয়মিত গাজরের রস পান করা উচিত।
৪. গাজর হজম ক্ষমতা বাড়ায়। গাজর খেলে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, বদহজম ইত্যাদি নিরাময় হয়। লিভারের রোগে আক্রান্ত রোগীর গাজরের রস, গাজরের স্যুপ পান করলে উপকার হয়।
৫. গাজরের উপকারী উপাদান ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধে অংশ নেয়। শ্বাসনালির প্রদাহ ভালো করে।
৬. গাজরে ক্যারোটিনয়েড রঞ্জক পদার্থ রয়েছে। এই উপাদানটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৭. কোলেস্টেরল এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গাজরের জুস ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে থাকা পটাশিয়াম মূল কারণ। গাজরে ক্যালরি এবং সুগারের উপাদান খুব কম। তাই শরীরচর্চার পর বা মর্নিং ওয়াকের পর জুস এক গ্লাস খেলে ভালো উপকার পাবেন।
ক্যানসার রোগীর সংক্রমণের সম্ভাবনা কমাতে সর্বদা জৈব এবং খোসা ছাড়ানো গাজর বেছে নেওয়া উচিত। গাজর ছোট টুকরো করে নিয়ে অল্প ভাপিয়ে নিন। ব্লেন্ডারে গাজরের টুকরো, পরিমাণ মতো নুন, চিনি আর এক চামচ লেবুর রস, ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে নিন। জুস তৈরির ৩০ মিনিটের মধ্যেই তা খেতে হবে।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল