Bangla News Dunia , পল্লব চক্রবর্তী : আমাদের যেটা করতে বারণ করা হয়, সবাই যেন সেই কাজটাই বেশি করে করেন। এতে বিপদ হয় না, তা নয়, তবু মানসিকতার পরিবর্তন করতে কেউ-ই চান না। সেই কারণে বলছি, সেই অনেক কাল আগে থেকে চিকিৎসকেরা গলা ফাটিয়ে ফাটিয়ে বলে আসছেন কোল্ড ড্রিঙ্ক শরীরের পক্ষে ভাল নয়।
কিন্তু কোল্ড ড্রিঙ্কের বিক্রি কেমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। জানেন কি ড্রিঙ্ক খেলে কী কী বিপদ হতে পারে ?
ফলে শরীরের জমতে থাকা ক্যালোরি ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেকে বলেন ডায়েট সোডায় যেহেতু চিনি থাকে না। এটি খেলে শরীরের কোনও ক্ষতিই হয় না। প্রমাণিত হয়েছে ডায়েট সোডায় চিনি না থাকলেও এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল নয়। নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
এক নজরে দেখুন কি কি সমস্যা হয় —–
১. বেশি মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্ক পান করলে কিডনির কাজ ব্যাহত হয়। স্টোনের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
২. প্রতিদিন কোল্ড ড্রিঙ্ক পান হার্টের রোগের আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এই পানীয় হয়তো আপনাদের তেষ্টা মেটায়, মানসিক শান্তিও দেয়। আপনার হার্টকে একেবারে অকেজ করে দেয়।
৩. কোল্ড ড্রিঙ্ক বা ডায়েট সোডা বেশি মাত্রায় খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভবনা বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। হজম ক্ষমতা বিগড়ে যাওয়ার কারণে আরও নানা ধরনের রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায়।
৪. হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ে। শুধু তাই নয়, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে কোল্ড ডিঙ্ক পানের সঙ্গে স্ট্রোকেরও যোগ রয়েছে। তাই সাবধান!
৫. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
৬. ডায়েট সোডা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণেই প্রেসারের রোগীদের কোল্ড ড্রিঙ্ক পানে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
৭. কোল্ড ড্রিঙ্কের সঙ্গে অ্যালকোহল মিলিয়ে পান করলে শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পরে।
৮. ডায়েট সোডা এবং বেশিরভাগ কোল ড্রিঙ্কে সোডিয়াম বেঞ্জোএট নামে একটি উপাদান থাকে, যা কোষের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।
৯. ডায়েট সোডায় অ্যাসিডিক এলিমেন্ট খুব বেশি থাকে। এই ধরনের পানীয় খেলে দাঁতের ক্ষয় হতে শুরু করে। নানাবিধ দাঁতের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
আরও খবর পেতে ফলো করুন আমাদের চ্যানেল