এই আসন গুলির উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন।

By Bangla news dunia Desk

Published on:

জয় রায় :- 

ময়ূরাসন

নিয়ম :- প্রথমে নীল -ডাউন অবস্থায় বসুন। এবার হাতের চেটো দুটি জোড়া অবস্থায় হাটু থেকে কিছু দূরে মাটিতে এমন ভাবে রাখবেন যাতে হাতের আঙ্গুল গুলি পায়ের দিকে ফেরানো থাকে। শরীরের উধংস সামনের দিকে একটু এগিয়ে নিয়ে এসে দু হাতের কুনুই ভেঙে নাভির উভয় পাশে রাখুন। এবার সামনের দিকে সামান্য ঝুকে পা দুটি জোড়া ও সোজা রেখে এমন ভাবে তুলুন যাতে দেহ ভূমির সঙ্গে সমান্তরাল অবস্থায় থাকে।

এবার নিঃশাস স্বাভাবিক রেখে প্রথম প্রথম ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড সময় দিয়ে করুন। ভালো ভাবে অভ্যাস হয়ে গেলে সময় বাড়িয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড সময় দিয়ে দুই অথবা তিনবার করবেন এবং প্রতিবার করবার পর একবার করে শবাসন করবেন।

কার্যকারিতা ও উপকারিতা :- ময়ূরাসনটি করার সময় কুনুই দুটির জন্য পেটে চাপ পড়ায় তলপেটের অভ্যান্তরিন চাপ বেড়ে যায় এবং তলপেটের প্রধান রক্ত বাহি ধমনী কিছুটা রুদ্ধ হয়। যখন তলপেটের চাপ সরিয়ে নেওয়া হয় অথাৎ ময়ূরাসন করার পর শবাসনে বিশ্রাম নেবার সময় পাকস্থলী , যকৃৎ ,প্লীহা ও হজমের নারীতে রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কোষ্ঠ কাঠিন্য , খিদে না পাওয়া ও বদহজম রোগ দূর করে। প্রধান রক্ত বাহি ধমনী শাখা প্রশাখার মাধ্যমে বৃক্ক ,এড্রিনাল গ্লান্ড ও গোনাল্ড ট্রপিক গ্ল্যান্ডে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে তাদের সবল এবং কর্মক্ষম করে তোলে।

বকাসন

এই আসনে শরীরের আকৃতি অনেকটা বকের আকার নেয় তাই এই আসনের নাম বকাসন।

নিয়ম :- প্রথমে হাটু দুটি ভেঙে বসুন এবার দুহাতের চেটো এমন ভাবে পেতে রাখুন যাতে হাতের আঙ্গুল গুলো সামনের দিকে ফেরানো অবস্থায় থাকে এবং পাছা সামান্য পিছনের দিকে তুলে দুহাতের উপর সম্পূর্ণ ভর দিয়ে দু হাটু তুলে কুনুইয়ের উপর রাখুন।

এবার নিঃশাস স্বাভাবিক রেখে প্রথমে  ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড সময় দিয়ে তিনবার আসনটি করুন এবং প্রতিবার করার পর একবার করে শবাসনে বিশ্রাম নেবেন।

কার্যকারিতা ও উপকারিতা :- এই আসনের রোজ অভ্যাসে হাতের ধমনীতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতের পেশি ও স্নায়ু গুলির জড়তা দূর হয়।

বকাশনের নিয়মিত অভ্যাসে কাঁধের ও ডেলটয়েড পেশির আকার বাড়িয়ে দেহকে সুগঠিত করে এছাড়া পেটের পেশিকে মজবুত করে হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং হাতের উপর সমস্ত শরীরের ভর থাকায় হাতের পেশি শক্তিশালী হয়।

সিংহাসন

নিয়ম :- প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাঁটু দুটি জোড়া রেখে দুহাতের সাহায্যে দুটি পাকে যতটা সম্ভব দুপাশে আস্তে আস্তে শর্তে থাকুন। এবার ডান হাত ডান হাঁটুর উপর এবং বাঁ হাত বাঁ হাঁটুর উপর রাখুন। পাছা যেন মাটিতে ঠেকে থাকে এবং পায়ের পাতা দুপাশে ফেরানো অবস্থায় থাকে।  এবার থুতনি বুকের সঙ্গে ঠেকিয়ে বুক ভোরে শ্বাস নেওয়ার পর জিভ যতটা সম্বব বের করুন। এইভাবে পর পর ৬ বার করার পর শবাসন করবেন।

উপকারিতা :- যারা তোতলা তারা ধোর্য ধরে রোজ এই আসন অভ্যাস করলে তোতলামি সারাতে পারবেন। যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লাগে অথাৎ সর্দি কাশিতে ভোগেন অথবা চল্লিশ বছরের উদ্ধে যাদের বয়স ও শরীরের গঠন খুবই পাতলা অথাৎ হাই ব্লাড পেসারের রোগীরা শশাঙ্কশন , হালসন এর পরিবর্তে সিংহাসন করলে উপকার পাবেন.

সুপ্তবজ্রাসন

নিয়ম :- প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। এবার দুহাতের সাহায্যে আসতে আসতে শুয়ে পড়ুন। মাথা মাটিতে ঠকানোর পর দুহাত দিয়ে দুহাতের কুনুই ধরে মাথার পিছনে রাখুন। আবার পেট ও বুক যতদূর সম্ভব উপরে তুলুন। লক্ষ রাখুন পায়ের আঙ্গুল থেকে হাটু পর্যন্ত অংশ যেন মাটিতে থেকে থাকে এবং হাঁটু দুটি যতদূর সম্ভব জোড়া অবস্থায় থাকে।

এবার নিঃশাস স্বাভাবিক রেখে এই আসন ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড পর্যন্ত সময় দিয়ে তিন অথবা চারবার করুন এবং প্রতিবার করার পর একবার করে শবাসন করবেন।

উপকারিতা :- এই আসনটির নিয়মিত অভ্যাসে হাটু ও অন্ন্যান্ন অস্থি গুলিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে , ফলে সেই সমস্ত অস্থি গুলিতে বাত জনিত ব্যাথা কম হয়।  এছাড়া কোষ্ঠ কাঠিন্যের রোগীরা এই আসনটি নিয়মিত করলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয়। পায়ের বিভিন্ন পেশির শক্তি বাড়াতে এই আসন যথেষ্ট সাহায্য করে।

Bangla news dunia Desk

মন্তব্য করুন