Bangla News Dunia, সারদা দে :- ১২ মাসেই যে শুকনো ফলগুলি পাওয়া যাই তার মধ্যে খেজুর অন্যতম। খেজুরকে নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপযোগী। আসুন জেনে নি পুষ্টিগুণে ভরপুর খেজুরের গুনাগুন।
১. প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে খেজুর খেলে তা শরীরের প্রয়োজনীয় ফাইবার ,প্রোটিন এবং ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে।
২. পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দূর করতে সহায়তা করে খেজুর।
৩. মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের ১১ ভাগ পূরণ করতে সাহায্য করে খেজুর।
আরো পড়ুন :- মানষিক অবসাদে ভুগছেন ? কিভাবে দূর করবেন ? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
৪. খেজুর শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এর উপাদানের শতকরা ৮০ ভাগই হলো চিনি। এই জন্য শুকনো খেজুর বা খোরমাকে বলা হয় মরুভূমির গ্লুকোজ।
৫. খেজুরে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।
৬. খেজুরের মধ্যে যেসব উপাদান রয়েছে তা সেরাটোনিন নামক ফিল গুড হরমোন উৎপন্ন করে যা মানসিক প্রফুল্লতা এনে দেয়।
৭. প্রতিটি খেজুরে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে খেজুর। সারা রাট ধরে খেজুর ভিজিয়ে সকালে সেই ভেজানো পানি খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য।
৯. হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে খেজুর খুব কার্যকরী। খেজুর দুর্বল হার্টকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
১০. বদহজম অনেকাংশে দূর করতেও সাহায্য করে খেজুর। এটি মুখের লালার সাথে মিশে গিয়ে খাবার হজম করতে সাহায্য করে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে খেজুর খাওয়া উচিত নয়। যেমন যাদের মাইগ্রেন আছে খেজুর খাওয়া উচিত নয়। খেজুরের মধ্যে টিরামিন নাম যে উপাদান রয়েছে তা মাথা ব্যাথাকে বাড়িয়ে তোলে। ডিপ্রেশনের রোগীদেরকেও খেজুর খাওয়া উচিত নয়। কারণ এক্ষেত্রে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীদেরকেও খেজুর খাওয়া উচিত নয়।
আরো পড়ুন :- স্মৃতিশক্তি অটুট রাখতে চান ! মেনে চলুন কিছু টিপস
Highlights
১. শুকনো ফল খেজুর স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী
২. ডিহাইড্রেশন দূর করতে ,রক্তচাপ কমাতে খেজুর অপরিহার্য
#dates|#health tips
“জেনে নিন খেজুরের উপকারিতা”-এ 2-টি মন্তব্য